গতির ঝড় তুলেও জিততে পারলো না ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্রের কেউই
ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই উঠলো গতির ঝড়। বল এখন এই প্রান্তে তো মুহূর্তেই অন্য প্রান্তে। মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়ে গেল ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র দুই দলই, যা চললো শেষ পর্যন্ত। আক্রমণ সাজানো বা গোলের সম্ভাবনা জাগলো বেশ কয়েকবার। কিন্তু কোনো দলই খুঁজে পেলো না জালের ঠিকানা, মাঠ ছাড়তে হলো ড্রয়ের সান্ত্বনা নিয়ে।
শুক্রবার রাতে আল বাইত স্টেডিয়ামে 'বি' গ্রুপের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। এক জয় ও এক ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ইংলিশরা। দুই ম্যাচে একটিতে জেতা ইরান ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে। দুই ম্যাচেই ড্র করে দুই পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে যুক্তরাষ্ট্র। এক হার ও এক ড্র করা ওয়েলস এক পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে।
গতিময় ফুটবল খেলা ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র বল দখলের লড়াই থেকে প্রায় সব কিছুতেই কাছাকাছি ছিল। বিশাল জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা ইংল্যান্ড ৫৬ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে। তবে আক্রমণে এগিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। গোলমুখে তাদের নেওয়া ১০টি শটের একটি লক্ষ্যে ছিল। ইংল্যান্ড শট নেয় ৮টি, লক্ষ্যে ছিল ৩টি।
ম্যাচের দশম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ তৈরি করে ইংলিশরা। ডান প্রান্ত থেকে বুকোয়া সাকার কাটব্যাক থেকে ছোট ডি-বক্সের সামনে বল পান হ্যারি কেইন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার ওয়াকার জিমারম্যান দৃঢ়তার সাথে এই আক্রমণ ফেরান। ১৭তম মিনিটে ওয়েস্টন ম্যাককিনের ক্রস থেকে হেড নেন হাজি রাইট, তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
২৬তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাককিনে। টিমোথি উইয়াহর ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পান তিনি। কিন্তু অনেক উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। ৩৩তম মিনিটে ইউনুস মুসাহর কাছ থেকে বল পেয়ে শট নেন ক্রিস্টিয়ান পালিসিক। তার নেওয়া শট ইংলিশ গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
৪১তম মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ডি-বক্সে ঢুকে শট নেন সার্জিনো ডেস্ট, গোলের দেখা মেলেনি। ৪৩তম মিনিটে পালিসিকের হেড একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। একটু পরই পাল্টা আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। দুই খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে সাকাকে কাটব্যাক করে লুক শ। তবে সাকার নেওয়া শট লক্ষ্যে থাকেনি।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধ জমেনি, ছিল না তেমন গতি। বেশিরভাগ সময়ে মাঝমাঠেই বল ঘোরাফেরা করে। ৪৯তম মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের রাইটের নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান ইংলিশ ডিফেন্ডার। পরের মিনিটে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মিডফিল্ডার ম্যাককিনে, উড়িয়ে মারেন তিনি।
ম্যাচের শেষ দিকে ইংলিশরা খেলার ধার বাগান। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে তারা, যদিও শেষ পর্যন্ত খেই হারিয়ে তা নষ্ট করে। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ইংল্যান্ড। শ-এর ফ্রি-কিক থেকে ফাঁকায় থাকা হ্যারি কেইন হেড নেন, কিন্তু তা লক্ষ্যে থাকেনি। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।