চেলসির গোল মিসের মহড়া, জাত চিনিয়ে সেমি-ফাইনালে রিয়াল
কট্টর চেলসি সমর্থকরাও হয়তো আশা করেননি রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে সেমি-ফাইনালে যাবে তাদের দল। নিজেদের মাঠে খেলা বলেই আশার ক্ষীণ আলো যাও কিছুটা ছিলো, সেটিও এক প্রকার নিজেদের দোষেই নষ্ট করেছে ব্লুজরা।
পুরো ম্যাচে চেলসির একের পর এক গোল মিস কাল হয়ে দাঁড়ালো তাদের জন্য। অপরদিকে দুর্দান্ত দুই প্রতি আক্রমণে গোল ছিনিয়ে নিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে বেশ নির্ভারই ছিলো আনচেলত্তির দল। তাই কিনা প্রথমার্ধে কিছুটা গা ছেড়েই খেলেছেন বেনজেমা-ভিনিসিয়ুসরা। সেই সুযোগ নিয়ে চেলসিও একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছে। শুরুর দিকেই ডি-বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন কান্তে। এরপর আরো কয়েকটি সুযোগ মিস করে চেলসি।
মাঝে রিয়ালও দুই-একবার আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। রদ্রিগোর শট বারে লেগে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ আসে চেলসির সামনে। কুকুরেয়ার শট অসাধারণ দক্ষতায় ফেরান থিবো কোর্তোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে রিয়াল, ৫৮ মিনিটে দ্রুত প্রতি আক্রমণ থেকে দলকে এগিয়ে দেন রদ্রিগো। ৭০ মিনিটে বেনজেমাকে তুলে নেন আনচেলত্তি। এরপর আবারও গোলের সুযোগ মিস করে চেলসি। ৮০ মিনিটে ব্লুজদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন রদ্রিগো। ভালভার্দের অসাধারণ দৌড় থেকে পাওয়া পাসে ফাঁকা জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান।
ম্যাচের শেষদিকেও গোল মিসের মহড়া অব্যাহত রাখেন চেলসির মাদ্রিক-ফেলিক্সরা। বার্নাব্যুর মতো স্ট্যামফোর্ড ব্রিজেও ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে অর্থাৎ দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ তে এগিয়ে থেকে সেমি-ফাইনালে ওঠে রিয়াল মাদ্রিদ।
সেমি-ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ হবে সিটি অথবা বায়ার্নের যে কোনো এক দল। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে জিতে সেই দৌড়ে এগিয়ে আছে পেপ গার্দিওলার দল।