চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: সিটির বিপক্ষে ফিরে আসার গল্প লিখতে পারবে বায়ার্ন?
প্রথম লেগ ৩-০ গোলে হারার পর টমাস টুখেল বলেছেন, ফিরতি লেগে ফিরে আসার সামর্থ্য রয়েছে তার দলের। বায়ার্ন কোচ প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়ে রেখেছেন সিটিকে, জার্মানিতে খেলা কোনো ম্যাচ অন্য ম্যাচের মতো নয় বলে।
যদিও এসবের থোড়াই কেয়ার করবেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। বায়ার্নের আঙিনা তো আর তার অচেনা নয়। ৩ বছর জার্মান জায়ান্টদের কোচ ছিলেন বর্তমান সিটি কোচ।
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বায়ার্নকে দর্শকের আসনে বসিয়ে খেলেছে সিটি। ৩-০ গোলের জয়ের ব্যবধানটা বড় হতে পারতো আরো। তবে যা পেয়েছেন তাতেও বেশ ফুরফুরেই থাকার কথা গার্দিওলার। যতোই টুখেল হুমকি-ধামকি দেন না কেন, নিজের দলের সামর্থ্য নিয়েও জানা আছে গার্দিওলার।
তবে ভয় আছে এক জায়গায়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির জন্য নিশ্চিত বলতে কিছু নেই। গার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কিছু একটা গড়বড় প্রতি মৌসুমের পাকিয়েছে তার দল। তবে এবার সেটি না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ডি ব্রুইনা-হলান্ডরা।
এই মৌসুমে এখনই ৪৭ গোল করে বসে আছেন হলান্ড। আজ বায়ার্নের বিপক্ষে চেনা মাঠে সংখ্যাটা নিশ্চয়ই বাড়িয়ে নিতে চাইবেন ২২ বছর বয়সী এই নরওয়েজিয়ান।
এদিকে বায়ার্নের সামনে চ্যালেঞ্জটা পাহাড়সম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রথম লেগে ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে ফিরে এসে সেমি-ফাইনালে যাওয়ার আছে কেবল দুটি, সেটিও তখন 'অ্যাওয়ে' গোলের সুবিধা ছিলো বিধায়। যেই নিয়ম এখন আর নেই।
থাকলেও অবশ্য বায়ার্নের লাভ হতো না। সিটির মাঠে তারা গোল করতে পারেনি। তবে সিটিও বায়ার্নের মাঠে গোল করলে বাড়তি কোনো সুবিধা পাবে না। যদি বায়ার্ন তিন গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে তাহলে খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। সব মিলিয়ে বায়ার্নকে ইতিহাস গড়েই যেতে হবে সেমি-ফাইনালে।
টমাস টুখেল অবশ্য হাল ছাড়েননি, এখন দেখার বিষয় তার দল ম্যাচে সেই মানসিকতার কতটুকু দেখাতে পারে।