শেষের ধসে ২৭৪ রানে শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
বারবার দিক হারালেও কখনও নাজমুল হোসেন শান্ত, কখনও তামিম ইকবাল পথ দেখিয়েছেন। পরে লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজদের ব্যাটে এগিয়েছে বাংলাদেশ। যে ধারায় ছিল সফরকারীরা, স্কোরটা তিন'শ ছুঁইছুই বা এরচেয়ে বেশিও হতে পারতো। কিন্তু মাত্র ১৩ রানের মধ্যে শেষের চার উইকেট হারানোয় প্রত্যাশার সংগ্রহ মেলেনি।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২৭৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ৩১৯ রান করে জেতা দলটিই এদিন ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি। ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় তামিম ইকবালের দল। বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মন্থর গতিতে ব্যাটিং করা তামিম কেবল পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ১৮ রানেই বিদায় নেন অভিষিক্ত রনি তালুকদার। আট বছর আগে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া ডানহাতি এই ওপেনার ৩২ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামেন। তবে দিনটা মনে রাখার মতো হলো না তার, ১৪ বলে ৪ রান করে আউট হন তিনি।
প্রথম উইকেট হারানোর চাপ অবশ্য দলকে বুঝতে দেননি তামিম ও শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন, কিন্তু এদিন বেশি পথ পাড়ি দেওয়া হয়নি তার। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩২ বলে ৭টি চারে ৩৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।
শান্তর বিদায়ের পর লিটেনর সঙ্গে জুটি গড়েন ধীর গতিতে ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকা তামিম। তৃতীয় উইকেটে ৭৬ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন তামিম-লিটন। তুলে মারতে গিয়ে থামতে হয় লিটনকে। এর আগে ৩৯ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৫ রান করেন তিনি। অভিষেকের পর থেকে দারুণ ছন্দে থাকা তাওহিদ হৃদয় এদিন দ্রুতই থামেন। ১৬ বলে ১৩ রান করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
এরপর মুশফিকের সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন তামিম। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ৮২ বলে ৬টি চারে ইনিংস সেরা ৬৯ রান করেন। ওয়ানডেতে এটা তার ৫৬তম হাফ সেঞ্চুরি। এরপর ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটা পায় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে ৭২ বলে ৭৫ রান যোগ করেন মুশফিক ও মিরাজ।
মুশফিক ৫৪ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ ও মিরাজ ৩৯ বলে ৩টি চারে ৩৭ রান করেন। এই দুজন বিদায় নেওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১১ বলে ৮ রান করে আউট হন। দারুণ বোলিং করা আয়ারল্যান্ডের পেসার মার্ক অ্যাডায়ার ৪ উইকেট নেন। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও জর্জ ডকরেল ২টি করে উইকেট নেন। ক্রেইগ ইয়ং একটি উইকেট পান।