শরিফুলের সামনে ধুঁকছে আফগানিস্তান
স্কোরকার্ড দেখে দল মেলানো কঠিন। প্রথম দুই ম্যাচ দিয়েই সিরিজ জিতে নেওয়া আফগানিস্তানেরই কিনা করুণ দশা। বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ধুঁকছে সফরকারীরা। ৬৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলমান তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারানো দলটি মাঝে ছোট দুটি জুটি গড়লেও ঠিক পথে ফিরতে পারেনি। ২৭ ওভারে ৭ উইকেটে আফগানদের সংগ্রহ ৬৮ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৭ ও জিয়া আকবর শূন্য রানে ব্যাটিং করেছেন।
বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম একাই আফগানদের ইনিংস এলোমেলো করে দেন। ৮ ওভারে ১৬ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। বাকি দুই ওভারে ১৮ রানের বেশি খরচা না করলে ওয়ানডেতে এটাই হবে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ৩৪ রানে ৪ উইকেট তার সেরা বোলিং। তাসকিন, সাকিব ও তাইজুল একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
শরিফুল-তাসকিনের তোপে দিকহারা আফগানিস্তান
সিরিজ খোয়াতে হয়েছে আগের ম্যাচে হেরেই, তবু চাপ কমেনি এতোটুকু। উল্টো হোয়াইটওয়াশের মহাচাপ নিয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলতে নামতে হয়েছে বাংলাদেশকে। টস ভাগ্য বিপক্ষে গেলেও বল হাতে যেমন শুরু হয়েছে, তাতে আফসোস থাকার কথা নয় ঘরের মাঠের দলটির। শুরুতেই তোপ দেগে আফগানদের কোণঠাসা করে ফেলেছেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই দুই পেসারই ছিলেন একাদশের বাইরে, শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়েই ত্রাতার ভূমিকায় এ দুজন। শরিফুল ও তাসকিনের আগুনে বোলিংয়ে ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানরা। ৯ ওভার শেষে ৪ উইকেটের সফরকারীদের সংগ্রহ ১৬ রান। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১ রানে ব্যাটিং করছেন, অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই দলকে উইকেট এনে দেন শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরানকে। অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এই ওভারেরই পঞ্চম বলে রহমত শাহকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন শরিফুল।
ষষ্ঠ ওভারে গিয়ে আফগানদের ইনিংসে সবচেয়ে বড় আঘাতটি হানেন তাসকিন। শর্ট ডেলিভারিতে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বোকা বানান তিনি। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিসহ ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা আফগান এই ওপেনার ২২ বলে ৬ রান করে আউট হন। ইনিংসের নবম ওভারে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে মোহাম্মদ নবীকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন শরিফুল।