টেস্ট ক্রিকেটে যেভাবে চা-বিরতির প্রচলন হলো
টেস্ট ক্রিকেটকেই খেলাটির শুদ্ধতম সংস্করণ বলে মানেন বেশিরভাগ ক্রিকেটার ও সাধারণ দর্শকরা। সাদা পোশাকের খেলা দিয়েই ক্রিকেটের আগমন ঘটে সেই ১৮৭১ সালে। অর্থাৎ, প্রায় ১৫৩ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটের প্রচলন রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড যে খেলা শুরু করেছিল, সেই খেলা আজও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে সদর্পে।
মজার ব্যাপার, টেস্ট খেলা তথা ক্রিকেট খেলার আবিষ্কারক ইংল্যান্ড হলেও লাল বলের খেলায় যে চা-বিরতি দেওয়া হয়, সেটি কিন্তু ইংলিশদের বুদ্ধি নয়। এর প্রবর্তক অস্ট্রেলিয়ানরা, আরও নির্দিষ্ট করলে বললে- জো ডার্লিংয়ের। ১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে তিনি চা-বিরতি রাখার প্রস্তাব করেন।
তবে ১৮৯৯ সালে চা-বিরতি কোনো আনুষ্ঠানিক কিছু ছিল না। ক্রিকেটাররা মাঠেই অবস্থান করতেন, তখন তাদের জলখাবার মাঠেই নিয়ে আসা হতো। ১৯০৫ সালে প্রথমবার ক্রিকেটাররা আনুষ্ঠানিক নিয়ম হিসেবে চা-বিরতিতে মাঠ ছেড়ে সাজঘরে যাওয়া শুরু করেন।
তবে চা-বিরতি নিয়মে পরিণত হওয়ার অনেক আগে থেকেই এটির প্রচলন ছিল। ১৮৮১ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেটে চা পানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বিরতি নেওয়া হতো। যদিও ইংল্যান্ডে এর প্রচলন কমই ছিল, মূলত অস্ট্রেলিয়াতেই এই বিরতি নিয়মিত নেওয়া হতো।
টেস্ট ক্রিকেটের সুদীর্ঘ ইতিহাসে মধ্যাহ্নভোজ ও চা-পানের বিরতি খেলাটিতে যোগ করেছে নতুন এক মাত্রা। পাঁচদিনের ম্যাচে প্রতিদিন সাত ঘন্টা মাঠে থাকেন খেলোয়াড়রা। যার মধ্যে তিনটি সেশনে দুই ঘন্টা করে ছয় ঘন্টা খেলার পাশাপাশি ৪০ মিনিটের মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ও ২০ মিনিট চা-পানের বিরতি নিয়ে থাকেন সবাই।