বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন না কাজী সালাউদ্দিন
সরকার বদলের পর থেকে দেশে চলতে থাকা পরিবর্তনের জোয়ারে এবার নিজে থেকেই শামিল হলেন কাজী সালাউদ্দিন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়বেন না সাবেক তারকা এই ফুটবলার। আজ বাফুফে ভবনে এই ঘোষণা দিয়েছেন সালাউদ্দিন।
টানা চার মেয়াদে বাফুফের সভাপতি পদে আছেন তিনি । তবে আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সালাউদ্দিন। আজ বাফুফেতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমি চার মেয়াদে দায়িত্বে ছিলাম। সে জন্য নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি যে, এমন সুযোগ আমার জীবনে এসেছে। এখন বাফুফের যে নির্বাচন আসছে, ২৬ অক্টেবরে; আমি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। এটা আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটা জানানোর জন্য এসেছি।'
সরকার বদলের পর সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি তোলে দেশের ফুটবল সমর্থকদের সংগঠন 'বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস।' বাফুফের সামনে দুই দফায় বিক্ষোভ করে সংগঠননি, দেয় পদত্যাগের আল্টিমেটামও। যদিও সালাউদ্দিন এসব কানে না নিয়ে গত ১৩ আগস্ট জানিয়ে দেন, পদত্যাগ করবেন না তিনি। সে সময় আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। কিন্তু মাস খানেক পর নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন সালাউদ্দিন।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। মেজর জেনারেল আমিন আহমেদকে হারিয়ে সেবার বাফুফে প্রধানের চেয়ার জেতেন দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়।
পরের দফায় নির্বাচন করতে হয়নি সালাউদ্দিনকে। ২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে কামরুল আশরাফকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো বাফুফে সভাপতি হন সালাউদ্দিন। সর্বশেষ নির্বাচনে জাতীয় দলের দুই সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়কে হারিয়ে বাফুফের মসনদে বসেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার।