সেদিকুল্লাহ ঝড়ে বাংলাদেশকে হারালো আফগানিস্তান
বড় সংগ্রহ গড়তে না পারলেও বল হাতে দারুণ শুরুতে জয়ের আশা জেগেছিল। কিন্তু ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে একপাশ যে ধরে রাখলেন, বাংলাদেশের কোনো বোলারই থামাতে পারলেন না সেদিকুল্লাহ আতালকে। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন আফগানিস্তানের বাঁহাতি এই ওপেনার। চাপ কাটিয়ে তুললেন, পরে ব্যাট হাতে চালালেন তাণ্ডব। সেদিকুল্লার দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিলো আফগানিস্তান।
রোববার ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠে এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপে আফগানিস্তান 'এ' দলের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ 'এ' দল। ওমানে চলমান এই আসরে জয় দিয়ে শুরু করেছিল আকবর আলীর দল, প্রথম ম্যাচে তারা হারায় হংকংকে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই হারের স্বাদ নিতে হলো তাদের। দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে 'এ' গ্রুপের তিন নম্বর দল বাংলাদেশ। সেমি-ফাইনালে উঠতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হবে তাদের, লঙ্কানদের পয়েন্টও দুই। টানা দুই জয়ে শীর্ষে আফগানিস্তান।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমনের হাফ সেঞ্চুরির পর দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আফগানিস্তানকে পথ হারাতে দেননি ম্যাচসেরা সেদিকুল্লাহ, খুনে ব্যাটিংয়ে চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন তিনি। রান-বলে ব্যবধান থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৫ বল হাতে রেখে জেতে তারা।
লক্ষ্য ৫২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। একপাশ ধরে রাখা সেদিকুল্লাহ অপেক্ষা করেন সঠিক সময়ের। সেই সময় আসতেই ব্যাটকে তরবারিতে পরিণত করেন অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। একাই দলকে জেতানো সেদিকুল্লাহ ৫৫ বলে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৯৫ রানে অপরাজিত থাকেন। দলটির আর কেউ ২০ রানের বেশিও করতে পারেননি। জুবায়েদ আকবরি ১৬, শহিদুল্লাহ ১৯ ও মোহাম্মদ ইশাক ১০ রান করেন। বাংলাদেশের রিপন মন্ডল ও আলিস আল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান আবু হায়দার রনি ও শামীম পাটোয়ারী।
এর আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ইমন। বাঁহাতি এই ওপেনার ৩২ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় করেন ৫৪ রান। ৩১ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ২৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ৩৮ রান করেন শামীম। সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। অধিনায়ক আকবর আউট হন ৪ রান করে। আফগানিস্তানের বিলাল সামি, কাইস আহমেদ, করিম জানাত ও শারাফুদ্দিন আশরাফ একটি করে উইকেট পান।