মার্কিন ফুলব্রাইট বৃত্তি: যেভাবে এগিয়ে থাকবেন প্রতিযোগিতায়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রচুর বৃত্তি পাওয়া যায়। আর এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফুলব্রাইট ফরেইন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম।
তবে এ বৃত্তিটি নিয়ে কম জানা, আবার অনেকসময় অতিরিক্ত তথ্য থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বুঝে উঠতে পারেন না তারা কী করবেন।
এ লেখায় ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম সম্পর্কিত ভুল ধারণাগুলো দূর করার চেষ্টা করা হবে। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সম্প্রতি ফুলব্রাইট বৃত্তি পাওয়া দুজন শিক্ষার্থীর সঙ্গেও আলাপ করেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্য নানা পরামর্শও।
ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম কী?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট-এর ব্যুরো অব এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স (ইসিএ) বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকগুলো ফুলি-ফান্ডেড বৃত্তি (পূর্ণবৃত্তি) প্রদান করে। এসব বৃত্তিতে শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা, থাকা-খাওয়া ইত্যাদি সবকিছুর খরচ দেওয়া হয়। ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম ইসিএ'র এমনি একটি বৃত্তি প্রোগ্রাম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন সিনেটর জে. উইলিয়াম ফুলব্রাইট যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্ক জোরদারকরণের কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে এ বৃত্তি প্রোগ্রামের প্রস্তাব করেন। প্রাথমিকভাবে এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিশ্বের নানপ্রান্তের শ্রেষ্ঠ মেধাবী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মার্কিন আদর্শের ধারণা দেওয়া এবং একইসঙ্গে মার্কিন শিক্ষার্থীদের ওই সব দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে জানার সুযোগ করে দেওয়া।
বর্তমানে বিশ্বের ৫৫টির বেশি দেশে ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। ফুলব্রাইট ফরেইন স্টুডেন্ট প্রোগ্রামের পাশাপাশি ফুলব্রাইট ফরেইন ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম, ফুলব্রাইট টিচিং এক্সিলেন্স অ্যান্ড অ্যাচিভমেন্ট প্রোগ্রাম, ফুলব্রাইট স্কলার-ইন-রেসিডেন্স প্রোগ্রাম ইত্যাদির আওতায়ও বৃত্তি প্রদান করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, অর্থনীতি, নগর পরিকল্পনা, পরিবেশবিদ্যা, লোকপ্রশাসন ইত্যাদি বিষয়ের পেশাদার তরুণ ও শিক্ষকদের দেওয়া হয় ফুলব্রাইট বৃত্তি।
নির্বাচিত হলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে একটি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের (পিএইচডি প্রোগ্রাম বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে) সুযোগ পান। এরপর পূর্ণবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম।
ফুলব্রাইট বৃত্তি পেতে কী লাগে?
মার্কিন দূতাবাসের নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা থাকার পাশাপাশি পেশাদার হতে হয়। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক বা কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠান, থিংক ট্যাংক, বা এনজিও-তে প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষক হিসেবে কাজ করলেই প্রার্থীর পেশাদারিত্বের মাপকাঠি পূর্ণ হয়।
'চমৎকার প্রাতিষ্ঠানিক পোর্টফলিও থাকলেও কদাচিৎ কোনো ফ্রেশারকে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। এ প্রোগ্রামে সচরাচর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছরের পেশাদারি অভিজ্ঞতা থাকা প্রার্থীদের খোঁজা হয়,' বলেন সাবেক ফুলব্রাইট বৃত্তি পাওয়া তাজরিয়ান শাইনাম শহীদ।
২০২০-২১ কোহর্টে ফুলব্রাইট বৃত্তি পেয়েছিলেন তাজরিয়ান শহীদ। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস-এ একজন প্রভাষক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ফুলব্রাইট প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার আগে তাজরিয়ানের প্রায় ১০ বছরের কাজ ও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ছিল।
একই কোহর্টে ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম অর্জন করা আরেকজন ইয়াসিন শফি। এ প্রোগ্রামের আওতায় মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় (অ্যান আর্বার) থেকে পাবলিক পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন তিনি।
তাজরিয়ানের মূল্যায়নের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে ইয়াসিনও জানান, ফুলব্রাইট প্রোগ্রামে সুযোগ পাওয়ার মূল চাবিকাঠি ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজের অভিজ্ঞতা। তবে আরও অনেক দিক রয়েছে যা এ বৃত্তি পেতে সহায়তা করে।
যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে দারুণ সিজিপিএ নিয়ে বেরিয়েছিলেন ইয়াসিন। সিজিপিএ'র গুরুত্ব নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ইয়াসিন বলেন, 'আমার মনে হয় বাইরের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সিজিপিএ'র যা গুরুত্ব রয়েছে, ফুলব্রাইটের ক্ষেত্রেও তা-ই। তবে সিজিপিএ'র যেকোনো একটি অঙ্ক আমি নির্দিষ্ট করে বলতে চাইনা। শিক্ষার্থী, পড়ার ক্ষেত্র, ও প্রোগ্রামের ওপর ভিত্তি করে সিজিপিএ-এর পরিসরের পরিবর্তন হয়। স্নাতক পড়তে চাইলে সাধারণত সামগ্রিকভাবে সিজিপিএ'র মূল্যায়ন করা হয়।'
'ভালো সিজিপিএ থাকা ভালো, তবে কাজের অভিজ্ঞতা, শক্তিশালী প্রবন্ধ ও লেটার অব রিকমেন্ডেশনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর সবগুলোকেই আবেদনের সঙ্গে মিলতে হবে,' তিনি বলেন।
তাজরিয়ান মনে করেন, কেবল একটি দিকের ওপর গুরুত্ব দিলে এ বৃত্তি অর্জন করার সম্ভাবনা কম।
'অনেকেই ছিলেন যাদের আমার চেয়ে বেশি জিম্যাট স্কোর বা ভারী প্রোফাইল ছিল। কিন্তু ইন্টারভিউর সময় বুঝতে পারলাম তারা একজন প্রার্থীর মধ্যে সবকিছু একসঙ্গে দেখতে চান: ভালো প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, পর্যাপ্ত কাজের অভিজ্ঞতা, ও এ প্রোগ্রামের ভিশনকে প্রতিফলিত করার ক্ষমতা,' তিনি জানান।
যদিও সবসময় প্রয়োজন হয় না, তবে জিআরই বা জিম্যাট স্কোর অথবা আইয়েল্টস, বা টোয়েফলের মতো ভাষাদক্ষতা পরীক্ষাগুলো প্রার্থীর প্রোফাইলে পরিপূরক হিসেবে থাকতে পারে।
'যুক্তরাষ্ট্রে এখন স্ট্যান্ডার্ড টেস্টবিরোধী হাওয়া বইছে। তবে এখনো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে জিআরই-জিম্যাট স্কোর বা ইংরেজি ভাষার কিছু পরীক্ষার স্কোর চায়। তাই এ পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এছাড়া এগুলো থাকলে অনুমান করা যেতে পারে যে প্রার্থী বিদেশে পড়তে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প। এটিও প্রোগ্রামে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সাহায্য করতে পারে,' ইয়াসিন বলেন।
আরেকটি ব্যাপার হলো, আপনি যদি ফুলব্রাইট প্রোগ্রামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নির্বাচিত হন, তাহলে কর্তৃপক্ষের খরচেই এ পরীক্ষাগুলো দিতে পারবেন।
সিজিপিএ, রিকমেন্ডেশন লেটার, ও কাজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তাজরিয়ান সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে দুটো জিনিসের ওপর গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো হলো শক্তিশালী, সৎ, ও নিজের সঙ্গে যায় এমন একটি স্টেটমেন্ট অব পারপোজ এবং একটি আত্মবিশ্বাসী ইন্টারভিউ।
'এটা নিশ্চিত করুন যে আপনার স্টেটমেন্ট অব পারপোজ কৃত্রিম না হয় এবং এটি আপনার পছন্দের বিষয় নিয়ে আপনার আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। এখানে আরও থাকতে হবে কেন আপনি ওই বিষয়টি পড়তে চান, এবং ফুলব্রাইট বৃত্তি পেলে আপনার সে লক্ষ্য কীভাবে পূরণ হবে ইত্যাদি কথাও,' তাজরিয়ান বলেন।
আবেদনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ফুলব্রাইট নির্বাচন কমিটি সংক্ষিপ্ত তালিকায় নির্বাচিত হওয়া প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকেন। তাজরিয়ান মনে করেন এ ধরনের সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাস দেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ।
'আর সবার মতো আমারও কোনো ধারণা ছিল না আমি নির্বাচিত হব কিনা। কিন্তু সাক্ষাৎকারের সময় আমি বৃত্তিটি পাওয়ার ব্যাপারে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী দেখাই। আমি সাক্ষাৎকারগ্রহীতাদের জানিয়েছিলাম বৃত্তি পেলে আমি কী করব সে বিষয়ে,' তিনি বলেন।
ইয়াসিন ও তাজরিয়ান দুজনেই প্রার্থীদের ধৈর্যচ্যুত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ ফুলব্রাইট বৃত্তির নির্বাচন প্রক্রিয়া ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ বেশ দীর্ঘমেয়াদি।
'আমি ২০১৯ সালের শুরুতে বৃত্তিটির জন্য আবেদন করি। প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল নির্বাচিত হতে,' ইয়াসিন জানান।
'অপেক্ষার প্রহর ফুরোতে না চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি নিজে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যাবে না। কোনো প্রশ্ন থাকলে বৃত্তির দায়িত্বে থাকা ভর্তি কমিটিকে তা ভদ্রোচিতভাবে জিজ্ঞেস (ইমেইলে) করতে হবে,' তিনি যোগ করেন।
ফুলব্রাইট পাওয়া কতটা কঠিন?
সত্যি বলতে কী, বেশ কঠিন।
'শেভেনিংয়ের মতো পূর্ণবৃত্তিগুলো ২০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী পেতে পারেন। আমাদের কোহর্টে কেবল ছয়জনকে ফুলব্রাইট দেওয়া হয়েছিল। তাই অন্য যেকোনো প্রোগ্রামের চেয়ে ফুলব্রাইট অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক,' ইয়াসিন বলেন।
কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করা যেহেতু ফুলব্রাইটের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল, তাই ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের তুলনামূলক কম ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব এ বৃত্তি অর্জনে একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়া ভারত ও পাকিস্তানে ফুলব্রাইট কমিশনের অফিস থাকলেও বাংলাদেশে নেই। অনেক দেশের সরকার এ প্রোগ্রামে অবদান রাখে, যার ফলে সেসব দেশ থেকে বেশি শিক্ষার্থী এ বৃত্তিটি পায়। বাংলাদেশ সরকারের ফুলব্রাইট প্রোগ্রামে কোনো অবদান নেই।
আরেকটি বিষয় হলো, ভূরাজনৈতিক কারণে অন্যান্য বেশি 'গুরুত্বপূর্ণ' রাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তির সুবিধালাভের ক্ষেত্রে কিছু বৈষম্যের শিকার হতে হয়।
এত ঝঞ্ঝাট নিয়ে কি লাভ হবে?
এটা নির্ভর করে আপনি কোন বিষয়গুলোর ওপর প্রাধান্য দিচ্ছেন তার ওপর।
আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের চিন্তা না করে কেবল সেখান থেকে একটি মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে চান, তাহলে ফুলব্রাইট দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হওয়া বা পিএইচডি করতে চাইলে হয়তো ফুলব্রাইটের চেয়ে আরও ভালো বিকল্প পাওয়া যাবে।
'সুবিধার কথা বলতে গেলে, প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফুলব্রাইট নেটওয়ার্ক আপনাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ফুলব্রাইটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারে। এছাড়া আগের কোহর্টের বৃত্তিপ্রাপ্তদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক হয়ে যাবে আপনার। এদের বেশিরভাগই ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে গেছেন বা ভবিষ্যতে হবেন। যেমন অনেক ফুলব্রাইটজয়ী নোবেল, পুলিৎজার ইত্যাদি পুরষ্কার জিতেছেন,' ইয়াসিন বলেন।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি একটি পূর্ণবৃত্তি। তাই মধ্যবিত্ত ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের জন্য এ বৃত্তি একটি বড় সুবিধা।
তবে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করার পর এ বৃত্তির নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে দুবছরের জন্য দেশে ফিরতে হয় বৃত্তিপ্রাপ্তকে। এ সময়ে পিএইচডি বা কাজের সুযোগ এলেও সেগুলো গ্রহণ করা যায় না। তাই যুক্তরাষ্ট্রে চিরস্থায়ী আবাস গড়তে চাইলে ফুলব্রাইট হয়তো আপনার জন্য নয়।
পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে, বেশিরভাগ মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার কোর্সওয়ার্কগুলো আবার করতে হয়। ফলে ক্ষেত্রবিশেষে পিএইচডি করার জন্য আপনাতে দুটি মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে হতে পারে।
এ কারণে পিএইচডি-তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের এফ১ ভিসার চেষ্টা করা ও কোনো গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হয়ে হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইয়াসিন।