এক গিগাওয়াটের সৌর প্রকল্প নিয়ে সৌদির সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে এক গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সৌদি আরবের এনার্জি কোম্পানি এসিডব্লিউএ পাওয়ারের সাথে আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশ। নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে একটি বৃহৎ সৌর প্রকল্প নির্মাণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আরব নিউজকে সালমান এফ রহমান বলেন, সম্ভাব্য গ্রিন হাইড্রোজেন প্রকল্পের ব্যাপারে এসিডব্লিউএ পাওয়ারের সাথে আলোচনা করছে বাংলাদেশ, যেখানে সৌদি সার্বভৌম ওয়েলথ ফান্ড পিআইএফের ৪৪ শতাংশ শেয়ার থাকবে।
"আমরা এসিডব্লিউএ পাওয়ারের সাথে আলোচনা করছি। প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং তারা আমাদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছেন। তারা এক গিগাওয়াটের বৃহৎ সৌর প্রকল্পের জন্য আলাপ-আলোচনা করছেন। আমরা আশা করছি, খুব শিগগির এই আলোচনা সম্পন্ন করতে পারবো এবং তারা দ্রুত একটি চুক্তিতে আসতে পারবেন", বলেন সালমান এফ রহমান।
তিনি জানান, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ২ দশমিক ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু দেশের অর্থনীতিকে বিস্তৃত করতে এবং বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে চাইলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।
তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করার জন্য একটি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। সেই সূত্র ধরেই হাইড্রোজেন প্রকল্পের বিষয়টি আসে। একই টার্মিনাল দিয়ে গ্রিন অ্যামোনিয়াও আমদানি করা যাবে, যা পরে গ্রিন হাইড্রোজেনে রূপান্তর করা সম্ভব হবে।
সালমান এফ রফমান বলেন, "আমরা জাপান সরকারের সাথে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছি। সেখানে একটি এলএনজি ও এলপিজি টার্মিনাল করা হবে। যেহেতু এই আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, তাই আমরা মনে করি সেখানে একটি অ্যামোনিয়া টার্মিনালও রাখা উচিত।"
"আমরা এসিডব্লিউএ পাওয়ারের সাথে গ্রিন হাইড্রোজেনের ব্যাপারেও কথা বলছি, কিন্তু এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। কারণ সেই প্রযুক্তি এখনো ততটা নিখুঁত নয় এবং খরচও অনেক বেশি", যোগ করেন তিনি।
সৌদি আরবের প্রথম তিনটি গ্রিন হাইড্রোজেন প্রকল্পের অংশীদারদের মধ্যে এসিডব্লিউএ পাওয়ার একটি। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো গ্রিন অ্যামোনিয়া রপ্তানি করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি ক্রেতার সন্ধান করছে তারা।