বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে: জাপানের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে মেট্রোরেল, ঢাকা বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ করছে। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) নিয়েও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাপান সরকার।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম চেম্বারের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান সবসময় দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা জি টু বি যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক হাব হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রামে জাপানের অনেক খ্যাতনামা কোম্পানি রয়েছে, যেগুলো ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। তিনি চট্টগ্রামে বিদেশী বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে পণ্যের বহুমূখীকরণ এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে রয়েছে জাপানের অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা। এছাড়াও দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও লজিস্টিক সেক্টরে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে জাপান। ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সেইসঙ্গে আনোয়ার পাশা চট্টগ্রামের ভৌগোলিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গনাইজেশনের (জেটরো) ঢাকাস্থ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ ইউজি অ্যান্ডো বলেন, চট্টগ্রামে জাপানের অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট না থাকা জাপানের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জাপানি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ যোগাযোগের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-ব্যাংকক সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে চিটাগাং চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন।
দু'দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ, তথ্য বিনিময় এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্র অনুসন্ধানের লক্ষ্যে জেটরোর পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা'র সভাপতিত্বে চেম্বারের প্রাক্তন সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, জেটরো'র ঢাকাস্থ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি অ্যান্ডো, চট্টগ্রামস্থ জাপানের সাবেক অনারারি কনসাল জেনারেল নুরুল ইসলাম, লুব-রেফ'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, জাপানস্থ জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমাম উদ্দিন, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি আবদুল হক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের যুগ্ম সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী বক্তব্য দেন।