গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৭ সেপ্টেম্বর
গণটিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় ডোজ আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় ডোজ শুরুর আগে আরও টিকা আসবে। ফলে দ্বিতীয় ডোজ দিতে কোনো সমস্যা হবে না।
কেন্দ্রীয় ঔষধাগার মিলনায়তনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ভেন্টিলেটর বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির তিনি সভাপতিত্বও করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মহাপরিচালক আবু হেনা মোরশেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতালবিষয়ক পরিচালক ফরিদ উদ্দিন মিয়াসহ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ৫৬১টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ৩০০টি এখন বিতরণের ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাঠানো দুই চালানে ৫৬২টি পোর্টেবল আইসিইউ ভেন্টিলেটর আসে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ বি এম আবদুল্লাহ বিমানবন্দরে এসে ভেন্টিলেটরগুলো গ্রহণ করেন।
ডা. আবদুল্লাহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা চার চিকিৎসক নেফ্রোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক, কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মাসুদুল হাসান, জাতিসংঘের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাহমুদ উস শামস চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. চৌধুরী হাফিজ আহসান ও কানাডায় বসবাস করা চিকিৎসক আরিফুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এসব ভেন্টিলেটর পাঠানো হয়েছে।
এসএমএস ছাড়া গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আজ একটি বৈঠক আছে। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, "এই টিকা কার্যক্রমকে আমরা ক্যাম্পেইন ভ্যাকসিনেশন বলতে পারি। পরীক্ষামূলকভাবে আমরা এটি বাস্তবায়ন করেছিলাম। আমাদের সক্ষমতা যাচাই করে দেখার জন্য এটির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। দুই-চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ক্যাম্পেইন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে"।
তিনি বলেন, "আমাদের হাতে এখনো ৩৫ লাখের মত এই টিকা রয়েছে। এই টিকা দিয়ে আমরা ক্যাম্পেইন ভ্যাকসিনেশনের দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ করব। আমরা আশা করছি যাদের প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেককে দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করা হবে"।