বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল ফাইজারের ভ্যাকসিন
জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর ভ্যাকসিন হিসেবে পরিচিত ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ১ লাখ ডোজ বাংলাদেশে আসছে আগামী রোববার।
জাতিসংঘের টিকাজোট কোভ্যাক্স থেকে আসা করোনা টিকার প্রথম এই চালানটি আগামী রোববার রাত ১১ টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় আসবে।
ভ্যাকসিনের অনুমোদন বিষয়ক ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ণপূর্বক কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সির ক্ষেত্রে ঔষধ, ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, ভ্যাক্সিন এবং মেডিক্যাল ডিভাইস মূল্যায়নের নিমিত্তে গঠিত কমিটির মতামতের জন্য ২৫-০৫-২০২১ তারিখে উপস্থাপন করেন। উক্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অদ্য ২৭-০৫-২০২১ তারিখে Pfizer Manufacturing Belgium NV, Belgium কর্তৃক উৎপাদিত COVID-19 mRNA vaccine (Trade Name: COMIRNATY) এর অনুকুলে Emergency Use Authorization (EUA) প্রদান করেছে।"
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, "বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটির লোকাল লিগাল অর্গানাইজেশন হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভ্যাকসিনটি USFDA কর্তৃক গত ১১-১২-২০২০ তারিখে, UKMHRA কর্তৃক গত ০২-১২-২০২০ তারিখে এবং EMA কর্তৃক গত ২১-১২ ২০২০ তারিখে Emergency Use Authorization (EUA) প্রাপ্ত হয়েছে। ভ্যাকসিনটি ৩১-১২-২০২০ তারিখে WHO এর Emergency Use Listing (EUL) অর্জন করেছে। ভ্যাকসিনটি ১২ বছর এবং তদুর্দ্ধ বয়সের ব্যক্তির জন্য ব্যবহারযোগ্য (ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশ সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রদান করা হবে। ভ্যাকসিনটি দুই ডোজের প্রথম ডোজের ৩ থেকে সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। ভ্যাকসিনটির সংরক্ষণ তাপমাত্রা 90°C to 60°C তবে ভ্যাকসিনটি ৫ দিন 2°C to 8°C তাপমাত্রায় এবং 30°C তাপমাত্রায় ২ ঘন্টা স্ট্যাবল থাকবে।"
বাংলাদেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত তৃতীয় ভ্যাকসিন ফাইজারের এই টিকা।
এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এর মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা কোভিশিল্ড দিয়েই গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে দেশে গণটিকাদান শুরু করেছিল সরকার। চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে টিকা কেনার প্রস্তাবও মঙ্গলবার সরকারের অনুমোদন পেয়েছে। উপহার হিসেবে চীনের কাছ থেকে পাওয়া এ টিকা দেশে প্রয়োগও শুরু হয়েছে।