মেট্রোরেল প্রকল্পের মালামাল চুরির অভিযোগে ১১ জন গ্রেপ্তার
রাজধানীর শাহ আলী এলাকা হতে মেট্রো রেল প্রকল্পের মালামাল চুরির সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ১১ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
এ সময় চোরাইকৃত ১৮টি আইবীমসহ ১টি ট্রাক ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ঢাকা মহানগরীর শাহ আলী থানাধীন এলাকায় সংঘবদ্ধ একটি চোরাকারবারী চক্র দীর্ঘদিন যাবত মেট্রো রেল প্রকল্প ছাড়াও সরকারের আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের আইবীম ছাড়াও অপ্রয়োজনীয় লোহা, ইস্পাত, তার, মেশিন কৌশলে চুরি করে।
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই চোরাকারবারী চক্র বিভিন্ন পন্থায় চোরাই দ্রব্য দ্রুত খণ্ড খণ্ড করে কেটে তা বিভিন্ন ভাঙ্গারী ও চাহিদাকারী ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাইকৃত ১৮টি আইবীম যাদের প্রতিটির ওজন ৪০ টন (বাজারমূল্য ২৫ লক্ষ টাকা), ১টি ট্রাক, ১টি প্রাইভেটকার, নগদ ৪২,৩০০০ টাকা ও ১৬টি মোবাইলসহ সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রের ১১ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চোরাকারবারী চক্রের সদস্য মোতালেব শিকদার (৫৪), নজরুল ইসলাম (৪৪), হাবিব উল্লাহ ভূঁইয়া (৪৩), ওয়ালীউল্লাহ ওরফে বাবু (৪১) এবং দালাল চক্রের সদস্য সুমন ঘোষ (৪৩), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৮), আব্দুস ছাত্তার (৫৮), মো. আশিক (৩১), আমজাদ হোসেন রাজন (৩৬), মো. মনির (৪০) ও মো. রিয়াজুল (২০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে, তারা একটি বিশেষ সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রের সাথেও জড়িত। পারস্পরিক যোগসাজশে তারা কিছুদিন যাবত ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প ছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের আইবীম ছাড়াও অপ্রয়োজনীয় লোহা, ইস্পাত, তার, মেশিন কৌশলে চুরি করে খণ্ড খণ্ড করে কেটে তা বিভিন্ন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল।
আরও জানা যায়, গত কয়েক বছর যাবত ঢাকাসহ আশপাশের জেলাসমূহে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব প্রকল্পের কার্যক্রম চলাকালে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণ স্তুপ আকারে থাকাকালে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী দলটি সু-কৌশলে সুবিধা বুঝে সুযোগমতো চুরি করে তাদের পছন্দমতো গোপন একটি জায়গায় নিয়ে এসে সেগুলো সহজে বহনযোগ্য করে বিভিন্ন ক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে থাকে।
চোরাই চক্রসহ অন্যান্য চক্রের আরও কয়েকজন আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।