রাজধানীতে জনসংখ্যার ঘনত্বের ভিত্তিতে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভিত্তিতে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে স্থপতি, নগরপরিকল্পনাবিদ এবং বেসরকারী আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট সহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডিটেইলড এরিয়া প্লান (ড্যাপ) বাস্তবায়নে রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন – রিহ্যাব ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভলপারস এসোসিয়েশন-বিএলডিএ'র প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে এলাকা ভিত্তিক জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ধারণ করে জোনভিত্তিক ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে। শহরের কোন অঞ্চলে কত তলা বিল্ডিং হলে মানুষ সকল নাগরিক সুবিধা পাবে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা ও স্কুল-কলেজ, শপিং মল, হেলথ সেন্টার, খেলাধুলার মাঠ, ওয়াটার বডি এবং সবুজায়ন সহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
এলাকাভিত্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সাভির্সেও চার্জ নির্ধারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী আরো বলেন, অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী এবং নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাসকারী মানুষের ইউটিলিটি চার্জ সমান হতে পারে না। পৃথিবীর অনেক দেশেই এলাকাভিত্তিক ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সমালোচনা হলেও এ বিষয়ে আমাদের একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া অতীব জরুরী।
তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীকে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই ড্যাপের মত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শফিউল্লাহ, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিএলডিএ'র সভাপতি আহমেদ আকবর সোবহান এবং রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন।