সিএনজি চালিত গণপরিবহন শনাক্তে বিশেষ রং ব্যবহার করবে সিএমপি
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর ডিজেলচালিত গাড়ির ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা হলেও, চট্টগ্রাম মহানগরে সিএনজিচালিত গণপরিবহনও একই ভাড়া আদায় করছে। এই বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সিএনজিচালিত গণপরিবহন শনাক্তে বিশেষ রংয়ের শনাক্তকরণ চিহ্ন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ।
তিনি বলেন, 'গ্যাসচালিত গাড়ি শনাক্ত করতে আমরা মালিক সমিতিকে নির্দেশনা দেব।'
সিএমপি উপ-কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আলী হোসেন টিবিএসকে বলেন, 'আমরা সিএনজি গ্যাসে চালিত গণপরিবহন শনাক্তে বিশেষ রং ব্যবহারের চিন্তা করছি। গাড়ির বডিতে ওই রংয়ের একটি দাগ টেনে দেওয়া হবে, যা দেখে যাত্রীরা গ্যাস ও ডিজেলচালিত গাড়ি চিনতে পারবেন।'
এদিকে বন্দরনগরীতে বর্ধিত ভাড়া তদারকি করতে মঙ্গলবার থেকে দু'জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট বসবে বলে টিবিএসকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিআরটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একিমিত্র চাকমা।
তিনি বলেন, 'সরকার নির্ধারিত ভাড়ার এক টাকাও বেশি ভাড়া নিতে পারবে না গাড়ি চালকরা। আমাদের সঙ্গে বিআরটিএর পরিদর্শক থাকেন। তিনি এটি পর্যবেক্ষন করে সিদ্ধান্ত দেবেন।'
বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে রোববার গণপরিবহনে নতুন করে ভাড়া সমন্বয় করে সরকার।
নতুন সমন্বিত ভাড়া অনুযায়ী, দূরপাল্লার বর্তমান বাসভাড়া প্রতিকিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। অর্থাৎ, কিলোমিটারপ্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৩৮ পয়সা গুনতে হবে।
এছাড়া বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।