উত্তরায় বারে ডিবির অভিযানে বিদেশি মদ-বিয়ার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩৫
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি বার থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ারসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগদ রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালচনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬ হাজার ক্যান বিদেশি বিয়ার ও ৪৫৮ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয় এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, "গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ অসাধুভাবে অবৈধ বিদেশি মদ ও বিয়ার ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের নামে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।"
তিনি বলেন, "গতকাল রাতে আমাদের কাছে তথ্য আসে, রাজধানীর ১৩ নম্বর সেক্টরের গরিবে নেওয়াজ এভিনিউ রোডের একটি একটি বাড়িতে শত শত ছেলে মেয়ে গান বাজনার নামে ডিজে পার্টি করছে এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণে মদ বিক্রি হচ্ছে। এর আগেও উত্তরার সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে গণ্যমান্য অনেকে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন যে, বাড়িটিতে সবসময় নৈরাজ্যকর পরিবেশ বিরাজ করে।"
তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডিবির কয়েকটি টিম ওই বাড়িতে যায় রাত ৯টার দিকে। টিমের লোকজন সেখানে গিয়ে বিপুল পরিমাণে মদ ও বিয়ারের সন্ধান পান।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আরো বলেন, "মদ ও বিয়ার আমদানির কাগজপত্র চেয়ে ডিবির সদস্যরা বাড়িটিতে রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। এরপরও বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সেখান থেকে আমরা ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করি।"
ভবনটিতে বারের কার্যক্রম কীভাবে চলত প্রশ্ন করা হলে ডিবি প্রধান বলেন, কিংফিশার রেস্টুরেন্টের নামে ওই ভবনের এসব কার্যক্রম (বার) চলত।
তিনি বলেন, কথিত বারের মালিক মুক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তার আরও কয়েকটি বার রয়েছে রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জে।
মুক্তার হোসেনের কাছে বারের কয়টি লাইসেন্স আছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা গতকাল যে ভবনে অভিযান চালিয়েছি, সেখানকার ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ম্যানেজার আমাদের বলেছেন, মিরপুর, গুলশান ও নারায়ণগঞ্জসহ পাঁচটি বার চালান মুক্তার। সেগুলো একই লাইসেন্সের কি না, তা আমরা জানি না।"
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ম্যানেজার আরও জানান, মুক্তার ২০০৮ সালের দিকে বারিধারায় এভিলিয়ন নামে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতেন। লেকভিউ নামে গুলশান-২ এর একটি রেস্টুরেন্টেও তিনি কাজ করতেন। ওয়েটার থেকে এখন তিনি শত কোটি টাকার মালিক। যুক্তরাষ্ট্রে তার বাড়ি-গাড়ি আছে। স্ত্রী-সন্তানরা সেখানেই থাকেন।