গ্যাস সংকটে ঢাকার সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলো
চলমান গ্যাস সংকটে রাজধানীর সিএনজি চালক ও ফিলিং স্টেশন মালিকরা বেশ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এখন তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছে।
সিএনজি চালক মো. দুলাল হতাশার কথা জানিয়ে বলেন, মেসার্স সততা অ্যান্ড কোং সিএনজি স্টেশনে ২৫০ টাকার সিএনজি কিনতে গিয়ে পাননি। রিফুয়েলিং মেশিনে চাপ কম থাকায় তিনি মাত্র ২০ টাকা মূল্যের গ্যাস পান।
দুলাল বলেন, 'এত কম জ্বালানি নিয়ে কতদূর গাড়ি চালাতে পারব জানি না। বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে অসংখ্যবার থামতে হবে আমাকে।'
মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নামে আরেক চালকও একই রকম অসুবিধার কথা জানিয়ে বলেন, ৭ ঘনমিটার গ্যাস কেনার ইচ্ছা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ ঘনমিটার।
গ্যাস সংগ্রহের জন্য দিনে একাধিকবার ফিলিং স্টেশনে ছুটে যেতে হচ্ছে বলে তার উপার্জন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে।
রফিকুল আরও বলেন, গাড়ির মালিকের দৈনিক ভাড়া দেওয়ার পর জীবিকা নির্বাহ করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।
তেজগাঁও এলাকার এম/এস সততা অ্যান্ড কোং-এর ক্যাশিয়ার সাঈদ আহমেদ জানান, তাদের গ্যাসের চাপের চাহিদা ১৫ পিএসআই (পাউন্ড/ইঞ্চি)—কিন্তু তারা চাপ পাচ্ছেন মাত্র ৫-৬ পিএসআই।
সাঈদ বলেন, 'স্টেশন চালু রাখতে চ্যালেঞ্জে পড়েছি, কারণ গত দুই বছর ধরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত স্টেশন বন্ধ থাকে। এখন বাকি সময়টায়ও যদি গ্যাসের চাপ এত কম থাকতে, তাহলে অসুবিধা আরও প্রকট হয়ে যায়।'
মহাখালী বাস টার্মিনালের পাশে শিকদার ফিলিং অ্যান্ড সার্ভিস স্টেশনের কর্তৃপক্ষও একই সমস্যার কথা জানিয়েছে। সব মিলিয়ে এ এলাকার সব ফুয়েল স্টেশনই গ্যাসের অভাবে ধুঁকছে।