ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের মতো, কম-বেশি হতে পারে: সিইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুমানিক ৪০ শতাংশ হারে ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিউসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এখনো সম্পূর্ণ ফলাফল না আসায় এ সংখ্যা আরও বাড়তে বা কমতে পারে বলে জানান তিনি।
রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ভোট-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, '৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে বা কমতেও পারে।'
ইসির তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিল ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।
সিইসি জানান, ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছে। গণনা করে ফলাফল দেওয়া হবে।
নির্বাচনে অনিয়ম প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'প্রশাসন বা পুলিশের আচরণে দু-চারটি অভিযোগ ছাড়া তেমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তাদেরকে বদলি করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'অনেকের দাবি ছিল ব্যালট পেপার সকালে প্রেরণ করা। ৯০ শতাংশ জায়গায় সকালেই ব্যালট পৌঁছে গেছে। দূর্গম এলাকায় আগের রাতে পাঠানো হয়েছে।'
গণমাধ্যম দক্ষতার সঙ্গে তার কাজ করেছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, 'বিকেলে আমি নেগেটিভ (নেতিবাচক) নিউজগুলো খুঁজচ্ছিলাম। এমন কিছু কেউ বলেনি। ফলে নির্বাচনটা স্বস্তিদায়ক ছিল।'
ভোটার উপস্থিতির হার কম হওয়ার মধ্যেই শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। এখন চলছে ফল গণনা।
ইসি'র ভোটের এ অনুমান যদি শেষ পর্যন্ত ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশের নিচে থাকে, তাহলে তা ১৯৯৬ সালের বিতর্কিত ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর দেশের নির্বাচনি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ভোটের হার হবে। ওই বছর মাত্র ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
এদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের আন্দোলনের শরিক জামায়াতে ইসলামীসহ আরও বেশকিছু দল এই নির্বাচন বর্জন করলেও, সরকার নির্বাচনকে সফল বলে ঘোষণা করেছে।