ভৈরবে ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ থাকা বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ট্রলারডুবির স্থলের আশপাশ থেকে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ'র যৌথ উদ্ধারকারী দল মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে।
মৃতরা হলেন– ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল মো. সোহেল রানা (৩৪) ও তার ছেলে রাইসুল (৫) এবং কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বেলন চন্দ্র দে (৪৫)। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মোট ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
এর আগে, গত দুইদিনে উদ্ধারকারী দল মোট ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এরা হলেন– পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৮) ও তার মেয়ে ইভা (৭), নরসিংদীর বেলাব উপজেলার কলেজছাত্রী আনিকা আক্তার (১৮), ভৈরবের আরাধ্য দে (১২) ও সুবর্ণা আক্তার (৩০) এবং কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার রূপা দে (৩০)।
ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ২০-২২ জন যাত্রী বহনকারী একটি ট্রলার বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ট্রলারের আটজন যাত্রী। তাদের উদ্ধারে গত দুইদিন অভিযান চালানো হয় নদীতে। এরমধ্যে গত শনিবার দুইজন এবং গতকাল রোববার তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজন নিখোঁজ ছিলেন। তাদেরকে উদ্ধারে সোমবার সকালে তৃতীয়দিনের মতো নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। পরে ট্রলারডুবির স্থলের আশপাশ থেকে ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।
যেহেতু আর কেউ নিখোঁজ আছেন বলে কোনো স্বজনের অভিযোগ নেই, তাই উদ্ধারকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যদি পরবর্তীতে কোনো স্বজন নিখোঁজ থাকার অভিযাগ করেন, তাহলে পুনরায় উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।