শুল্কমুক্ত সুবিধার জন্য শ্রম অধিকার, অগ্নি-ভবন মানদণ্ড লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ চায় যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশকে শ্রম অধিকার, অগ্নি ও ভবন মানদণ্ড লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা বৃদ্ধি ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সুইপিং ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিদর্শক নিয়োগ দিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকায় অনুষ্ঠিত 'ইউএস-বাংলাদেশ টিকফা ইন্টারসেশনাল মিটিং'-এ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শ্রমিক অধিকার রক্ষায় এই ১১ দফা অ্যাকশন প্ল্যান তুলে ধরা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করা এবং ইউনাইটেড স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে ঋণ পাওয়া সহজতর হবে ।
বৈঠকের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া বাণিজ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'বাংলাদেশে শ্রম অধিকার পরিস্থিতির উন্নতি করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমরা শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারি।'
মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতা এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলের সহকারী ইউএসটিআর প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য সচিব বলেন, 'আমরা ইউনাইটেড স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের ফান্ডের সুবিধাও নিতে পারি।'
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম টিবিএসকে বলেন, 'শ্রমিকরা যখন সহিংসতা করে, তখন বেশিরভাগ সময়ই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্তও পুলিশ করে। এক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে যদি যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নিতে বলে তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এটি হলে শ্রমিকদের অপরাধ থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে।'
তিনি বলেন, সরকার কিংবা বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ—কেউই অন্যায্য শ্রমের চর্চা চায় না। 'কোনো মালিক বা ব্যবস্থাপক আনফেয়ার লেবার প্র্যাকটিস করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি আমরাও চাই। তবে এক্ষেত্রে আগে চিহ্নিত করতে হবে, কোনগুলো আনফেয়ার লেবার প্র্যাক্টিস।'
তিনি আরও বলেন, 'শ্রমিকরা আমাদের কারখানা ভাঙচুর করলে, অগ্নিসংযোগ করলে বা আমাদের মিডলেভেল ম্যানেজমেন্টকে মারধর করলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি তার নিজের দেশে এ ধরনের বিধান করে, তাহলে আমরাও তা মেনে নিতে রাজি আছি।'
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর নেওয়া বাধ্যতামূলক করার বিধানটি শিথিল করার বিষয়ে মালিকপক্ষ ইতিমধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ে মতামত দিয়েছে বলে জানান হাতেম।
শ্রমিকদের ধর্মঘট ডাকার ওপর বিদ্যমান বিধিনিষেধকে "এক্সেসিভ" উল্লেখ করে তা দূর করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, 'পৃথিবীর কোনো দেশই শ্রমিকদের অবৈধ ধর্মঘট অনুমোদন করে না।'
গত নভেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারাও শ্রমিক অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশকে বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছে, যা বাস্তবায়নের সঙ্গে এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রধান এই বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে।
অ্যাকশন প্ল্যানে যা আছে
'বাংলাদেশ লেবার অ্যাকশন প্ল্যান'-এ যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশকে 'ইউনিয়ন সংগঠক, শ্রমিক ও আইনি প্রতিবাদ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও হয়রানির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের প্রতিরোধ ও জবাবদিহি করতে অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে হবে।'
শ্রমিক কর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগগুলো বাদ দিতে বা সুরাহা করতেও বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারকে বাংলাদেশ শ্রম আইনের অধীনে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী কারখানা মালিক, ব্যবস্থাপনা ও ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে এবং এ ধরনের লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্ত করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অ্যাকশন প্ল্যানে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) সংশোধন করতে হবে।
ইউনিয়ন গঠনের চেষ্টার সময় শ্রমিকদেরকে অফিশিয়াল সংখ্যায় জানার অনুমতি দিতে বলা হয়েছে অ্যাকশন প্ল্যানে। পাশাপাশি এরকম রেজিস্টার রাখতে না পারা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমোদন দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
আরেকটি সংশোধনীতে ধর্মঘটের অধিকারের ওপর 'অতিরিক্ত' বিধিনিষেধ দূর করার এবং অবৈধ ধর্মঘটের জন্য কঠোর শাস্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।
'রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে শ্রমিকদের সংগঠন ও সম্মিলিত আলোচনার অধিকার পূর্ণরূপে প্রয়োগ করার জন্য' সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইপিজেডগুলোকে বাংলাদেশ শ্রম অধিকার আইনের আওতায় আনার কথা বলেছে। ২০২৫ সালের জুন নাগাদ ইপিজেডে শ্রম আইন বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিএমইএর একজন পরিচালক টিবিএসকে বলেন, 'গত দশকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে বিশাল অগ্রগতি অর্জন করেছে। সবুজ কারখানার পাশাপাশি আমরা প্রযুক্তিতেও প্রচুর বিনিয়োগ করেছি, যা শ্রম বিষয়ে সর্বোত্তম চর্চার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক।'
তা সত্ত্বেও যখন জিএসপি বা শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার বিষয়গুলো সামনে আসে, তখন বারবার ট্রেড ইউনিয়নের ইস্যুটি আনার এবং একে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সক্রিয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো দেশের আইনের কাঠামোর মধ্যে কাজ করে, পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। 'তবে কখনও কখনও কারখানাগুলোতে বিভিন্ন ইউনিয়নের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। আর যখনই অযাচিত কিছু ঘটে, তখন দোষ দেওয়া হয় কারখানাকে।'
বিজিএমইএর ওই পরিচালক বলেন, 'ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের এসব কঠোর বিধিনিষেধ সত্ত্বেও আমরা কার্যাদেশ বাড়িয়েছি। উত্থাপিত অভিযোগগুলো যদি সত্য হতো, তাহলে আমাদের শিল্পের প্রতি এরকম আস্থা তৈরি হতো না।'
তিনি আরও বলেন, 'অনেক ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়নগুলো রাজনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে ইউনিয়নগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।'
'এসবের বদলে আমরা কর্মীদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে জানানোর এবং সম্মিলিত আলোচনায় আরও কার্যকর প্রতিনিধি হওয়ার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া কর্মসূচিকে সমর্থন করি,' বলেন তিনি।
জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল
রানা প্লাজা ধসের পর ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে তা পুনর্বহালের শর্ত হিসেবে ১৬ দফা অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
পরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেগুলো বাস্তবায়ন করার দাবি করে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের দাবি করা হলেও তা বার বার প্রত্যাখ্যান করে আরও উন্নতি করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে সরকার জিএসপি পুনর্বহালের দাবি না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তখন থেকে জিএসপি সুবিধার বদলে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা দাবি করছে বাংলাদেশ।
টিকফা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করলে জিএসপি বা শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা যে পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কিছু বলেনি।
'তারা বলেছে, তাদের জিএসপি পলিসি মার্কিন কংগ্রেসে রয়েছে। অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করলে জিএসপি ফিরে পাওয়া সহজ হবে,' বলেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ডাব্লিউটিওর মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও দেশগুলো চাইলে তিন বছর জিএসপি সুবিধা দিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে এখনও জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করা হলে বাংলাদেশ তা পাঁচ বছর ভোগ করতে পারবে।
শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা
বৈঠকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলা থেকে উৎপাদিত বাংলাদেশি পোশাকের জন্য শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পাওয়ার আশা করেছিল।
এ বিষয়ে শ্রম সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্রের তুলা আমদানিতে বাংলাদেশ ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি প্রত্যাহার করেছে। তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের তুলায় উৎপাদিত বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চেয়েছে ঢাকা।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি বলে টিবিএসকে জানান সভায় উপস্থিত থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছর আগে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার বাজার হিস্যা ছিল ৯ শতাংশ। ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিল করার পর এখন তা বেড়ে প্রায় ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা যুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত তুলা ব্যবহার করে বাংলাদেশে উৎপাদিত আরএমজি পণ্যগুলোতে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি বাড়লেও দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমছে।
গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত অফিস অভ টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটিইএক্সএ) তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি-ফেব্রয়ারি দুই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১.১৮ বিলিয়ন ডলার—যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯.২৪ শতাংশ কম। গত বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৩৯৫.৬৯ মিলিয়ন বর্গমিটার পোশাক আমদানি করেছে—যা ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো ৪৫৩.৭৩ মিলিয়ন বর্গমিটারের চেয়ে প্রায় ১২.৭৯ শতাংশ কম।
ওষুধপণ্যের নিবন্ধন ব্যয়
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে জানান, বাংলাদেশের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির পাঁচটি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে নিবন্ধন করাতে ৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হওয়ার তথ্য তুলে ধরে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ওষুধপণ্য নিবন্ধনের খরচ কমানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ।
ওই কর্মকর্তা জানান, এ প্রস্তাবের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)।
মিটিং শেষে ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য সচিব জানান, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে কৃষি খাতের উন্নয়নে প্রযুক্তি স্থানান্তর করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতেও সম্মতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি জানান, ইউএসটিআর বাংলাদেশের ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাক্টসের প্রশংসা করেছে। তবে এটি বাস্তবায়নে জোর দিতে বলেছে।