ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলো ৪৯ টাকা
মে মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ের ১২ কেজি এলপিজির মূল্য ১৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর আগে এপ্রিলে মাসে ১২ কেজি এলপিজির মূল্য ছিল ১৪৪২ টাকা।
বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি সিলিন্ডারের দাম ১১৬.০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিইআরসি। আজ বিইআরসি হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।
প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ থাকায় গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ,পরিবহণ, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার বেড়েছে। বিইআরসি প্রতি কেজি এলপিজির খুচরা দাম ১৬ টাকা ৮ পয়সা নির্ধারণ করেছে। সে অনুযায়ী সাড়ে পাঁচ কেজি, ১২, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫ ও ৪৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম কমেছে।
যদিও বাজার থেকে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় বলে ভোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে। বাজার ঘুরে সে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।
এলপিজির পাশাপাশি গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও কমেছে। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা। যা গত মাসে ছিল ৬৬ টাকা ২১ পয়সা।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরামকো কোম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির মূল্য ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। তার পর থেকে প্রতি মাসে একবার করে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।