ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলের ২৬ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে কোনো ধরনের দুর্ঘটনার এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো।
রোববার (২৬ মে) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের পর থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্র খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ শুরু করেছে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে ১৪টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর বিদ্যুৎকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পরপরই যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় সে লক্ষ্যে প্রত্যেকটি সমিতির কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত রায় বলেন, 'ইতোমধ্যে সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।'
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে যেন তা ঠিক করা যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিভিন্ন জায়গায় ইতোমধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিআরইবি'র তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎহীন এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী, বাগেরহাট, ভোলা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা ও ঝালকাঠি জেলা।
এর মধ্যে পটুয়াখালীতে ছয় লাখ, বাগেরহাটে সাড়ে চার লাখ এবং ভোলায় সোয়া চার লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগের বাইরে রয়েছেন।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, 'ঝড়ের সময় যাতে কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হয়, সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে।'