শেখ হাসিনার সঙ্গে শনিবারের বৈঠক কেন ‘বিশেষ’, জানালেন মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার (২২ জুন) দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাণিজ্য থেকে শুরু করে সীমান্ত ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত বছর দুই নেতা অন্তত ১০ বার বৈঠক করেছিলেন।
চলতি মাসে এ নিয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফর করলেন। এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
তবে শেখ হাসিনার সর্বশেষ ভারত সফরকে 'বিশেষ' বলে অভিহিত করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেছেন, 'গত এক বছরে আমরা ১০ বার সাক্ষাৎ করলেও তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আমাদের প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি। তাই আজকের বৈঠকটি বিশেষ।'
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।
একই সময়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠনের পর এটি ছিল কোনো দেশে শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।
শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমাদের নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। ভারত আমাদের প্রধান প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার।'
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা ও নয়াদিল্লি ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। এর মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়ন করেছে।
সফর শেষে আজ শনিবার রাতে দেশে ফিরেছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রাত ৮টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ভারতের পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।