সুনসান ঢাবি ক্যাম্পাস: কড়া পাহারায় পুলিশ, বিজিবি
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত কয়েকদিনের সহিংস সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ জুলাই) শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। এরপর, আজ (১৮ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিজিবি সদস্যদের মহড়া দিতে দেখা যায়। টিএসসি ও টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে অবস্থান করছিলেন শতাধিক বিজিবি সদস্য।
প্রত্যেক মোড়ে কড়া পাহারায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। সঙ্গে র্যাব সদস্যরাও রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স এবং সাংবাদিক পরিচয় ছাড়া অন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ক্যাম্পাস থেকে বের হতে চাইলেও বলা হচ্ছে, বের হলে আর প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে জানা গেছে, ছেলেদের হলে এই মুহূর্তে কেউ নেই; মেয়েদের হলগুলোতে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী আছেন এখনও। সুফিয়া কামাল হলে ৩০ জন, রোকেয়া হলে ২০ জনের বেশি, শামসুন্নাহার হলেও কয়েকজন আছেন। তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই হল ছেড়ে চলে যাবেন।
এমনকি, ক্যাম্পাসের ভিতরে অবস্থানরত অনেক শিক্ষক ক্যাম্পাস ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে রওনা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের পর বেশিরভাগ আবাসিক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। রোকেয়া হলের সামনে ও ভিসি চত্বর এলাকায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ একাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন সাংবাদিকও পৃথক সংঘর্ষে আহত হন।