বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ও স্পিডবোটডুবি: নিখোঁজ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার ও স্পিডবোটডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ উপকূলে ভেসে আসার পর উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন মৃত আজম আলীর ছেলে মো. ইসমাঈল (২৮), মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ (৩০) ও ছলিম উল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ সৈকত (২৭)। তারা সবাই সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় দুজনের এবং বিকেল ৪টার দিকে তৃতীয়জনের মরদেহ ভেসে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌপথের শাহপরীর দ্বীপের অদূরে বুধবার (২৪ জুলাই) একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধারকাজে যান।
এ সময় ঢেউয়ের ধাক্কায় একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। এরপর থেকে এসব দুর্ঘটনায় তিনজন নিঁখোজ ছিলেন।
মরদেহগুলো উদ্ধার করে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামক ওই ফিশিং ট্রলারটি ডুবে যায়।
এ সময় ট্রলারে থাকা ১২ আরোহীর মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকাজের সময় একটি স্পিডবোট পানিতে তলিয়ে যায়।
সেন্টমার্টিনের কয়েকজন বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন, ট্রলারডুবির পর কোস্টগার্ডকে জানালেও তারা উদ্ধার তৎপরতায় সাগরে নামেননি। এ ঘটনার জেরে কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসির উত্তেজনাও তৈরি হয়।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জের সরকারি ফোন নম্বরে গত তিনদিন ধরে টিবিএস একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।