ফ্যাক্ট চেক: ঢাকায় হিন্দু অধ্যাপককে পদত্যাগে বাধ্য করার ভিডিওটি অপপ্রচার
ভারতের সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের একটি ভিডিও। ভিডিওটি শেয়ারের ক্ষেত্রে দাবি করা হয়েছে, ঢাকার একটি কলেজের হিন্দু শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখার (ইসলামী ছাত্র শিবির) সদস্যরা, এবং একইসাথে জোর করে তাঁকে কোরানের আয়াত পাঠে বাধ্য করা হয়েছে।
তবে ভারতের বার্তাসংস্থা– প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এর ফ্যাক্ট চেক এর খণ্ডন করে প্রকৃত ঘটনা ব্যাখ্যা করেছে। পিটিআই জানায়, ওই অধ্যাপক ছিলেন ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির। এবং ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন। সেই ভিডিও মিথ্যা সাম্প্রদায়িক রঙ চড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে।
বিশেষ করে, চলতি মাসের শুরুতে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার নানান অভিযোগের মধ্যে এই ভিডিওটি ভারতে ভাইরাল হয়েছে।
যে দাবি করা হচ্ছে
গত ১৯ আগস্ট সামাজিক মাধ্যম 'এক্স' (সাবেক টুইটার) এ একজন ব্যবহারকারী এই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ঢাকা কলেজের একজন হিন্দু অধ্যাপককে জোরপূর্বক কোরানের আয়াত পাঠে বাধ্য করছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন।
পোস্টের ক্যাপশনে হিন্দিতে যা বলা হয় তার অর্থ হচ্ছে, "জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ঢাকা কলেজের এক হিন্দু অধ্যাপকের পদত্যাগ অত্যন্ত অদ্ভূতভাবে গ্রহণ করেছে। প্রথমে তাকে কোরানের আয়াত পাঠে বাধ্য করা হয়। এরপর কোরানের আয়াত তেলাওয়াতের পরে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।"
পোস্টটি নিচে দেওয়া হলো—
পিটিআই তাঁদের অনুসন্ধানে, ঢাকা পোস্ট, ঢাকা ট্রিবিউনসহ বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে ওই ঘটনার প্রকাশিত সংবাদের সূত্র উল্লেখ করেছে, যেখানে প্রকৃত ঘটনাটি উঠে এসেছিল।
যেমন ১৯ আগস্ট ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সমবেতভাবে কোরআন তিলাওয়াতকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে এই ডিনকে পদত্যাগের পর বসিয়ে কিছুক্ষণ কোরআন তেলাওয়াত শোনান শিক্ষার্থীরা।