বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ৩৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু
বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এক হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
সংস্থাটি বলেছে, দ্রুতই মানিলন্ডারিং আইনে সালমান এফ রহমানসহ বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। সিআইডির একাধিক সূত্র দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা টিবিএসকে জানান, আর্থিকখাতে অনিয়ম অনুসন্ধানের বিষয়ে সম্প্রতি সিআইডির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমেকো কোম্পানির অর্থ পাচারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। পরে সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুসন্ধানের অনুমোদন দেন।
বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনের একটি কপি টিবিএস'র হাতে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বেক্সিমকো গ্রুপ গত ১৫ বছরে সাতটি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংক থেকে পাঁচ হাজার ২১৮ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি টাকা, সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক থেকে সম্মিলিতভাবে পাঁচ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এসব টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
আরও বলা হয়, বিগত কয়েক বছরের দৃশ্যমানভাবে বাজার থেকে ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং অদৃশ্যভাবে ২০ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বাজার থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।