গাজী কারখানায় আগুন: নিখোঁজদের তথ্য জানতে গণশুনানি, মহাসড়ক অবরোধ ক্ষুব্ধ স্বজনদের
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার্স কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) গণশুনানি করেছে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এসময় স্বজনদের নিখোঁজ দাবি করা ৮০ জনের বক্তব্য শুনেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এক পর্যায়ে স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
জানা যায়, রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানসহ কমিটির সব সদস্য গণশুনানিতে নিখোঁজদের ৮০ জন স্বজনের বক্তব্য শোনেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে দফায় দফায় তালিকা করা এবং আগুন নেভাতে বিলম্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিখোঁজদের স্বজনেরা। এক পর্যায়ে নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
নিখোঁজদের স্বজনরা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় দুইশ'র মানুষ ভেতরে আটকা পরেছিল। তাদের অধিকাংশই বের হতে পারেনি। ঘটনার ২২ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও, পুরোপুরি আগুন নেভাতে অন্তত ৩০ ঘন্টা লেগেছে। এরপরেও ফায়ার সার্ভিস ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এর মধ্যে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে হাড় পেয়েছে। এরপরেও কেন ফায়ার সার্ভিস আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ভেতরে অভিযান চালাতে পারছে না?
গণশুনানির বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, 'অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের স্বজনদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। আজকে প্রায় ৮০ জন বক্তব্য দিয়েছেন। এরমাঝে কয়েকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সড়ক অবরোধ করে। আমরা তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেই। জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি পুরো বিষয় নিয়ে কাজ করছে।'