মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কারসাজির অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মালয়েশিয়ায় কাজের খোঁজে থাকা বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণ করার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং একজন সাবেক সংসদ সদস্য সহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল (৩ সেপ্টেম্বর) পল্টন থানায় একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক আলতাফ খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। থানার ডিউটি অফিসার আব্দুল বাতেন টিবিএসকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ ও সাবেক সিনিয়র সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও মানব পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
মন্ত্রী ও সচিব ছাড়াও মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশ্মীরি কামাল ও মেয়ে নাফিসা কামাল সহ অন্তত ১০০ জন রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকের নাম রয়েছে।
অভিযুক্তরা ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে সিন্ডিকেটের কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মালয়েশিয়া সরকার ২০২১ সালের শেষের দিকে একটি সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের জন্য বাংলাদেশের ২,৫০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে মাত্র ১০০ নিয়োগকারী সংস্থাকে বেছে নেয়, যার মাধ্যমে এই কথিত "সিন্ডিকেট" গঠিত হয়।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত সিন্ডিকেট থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া উভয় দেশেই লবিং করা হয়েছে, যার ফলে তারা অভিবাসী কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
নির্বাচিত এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রায় ৪.৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা আদায় করত, যেখানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত অর্থ ছিল ৭৯ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয়।