বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে জাপান: রাষ্ট্রদূত
জাপান বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) এর সঙ্গে তার অফিসকক্ষে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, 'জাপান প্ল্যাটফর্মের' আওতায় এনজিও'র মাধ্যমে বন্যাদুর্গত এলাকায় বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য দুই মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে জাপান সরকার।
এসময় উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় আমনসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এর জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকারের পাশাপাশি জাপানের বেসরকারি খাতও বাংলাদেশের কৃষি খাতের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
এছাড়া, বন্যার আগাম পূর্বাভাস ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে জাপান সহযোগিতা করবে বলে উপদেষ্টাকে জানান রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে বাংলাদেশে বসবাসরত জাপানি নাগরিক, জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প ও ইপিজেডে জাপানের বিভিন্ন শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ে জাপানের উদ্বেগের কথা জানালে, উপদেষ্টা এ বিষয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চলমান অভিযানে সন্ত্রাসীদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। সেখানে কাজ করা জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে থাকে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। তাদের নাগরিক দেশে নিরাপদ নন। অপরাধীরা মিয়ানমারে মাদক উৎপাদন করে তা আমাদের দেশে পাচার করে। সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশেপাশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। পাশাপাশি মাদক পাচার রোধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
মিয়ানমারকে তাদের নাগরিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে বলেও উপদেষ্টা এসময় উল্লেখ করেন।