ভুলুয়া নদীসহ সব খাল দখলে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল
লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীর ভুলুয়া নদীসহ সব খাল দখলে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সাথে সাথে আদেশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভুলুয়া নদীর দখল বিষয়ে তদন্ত-পূর্বক ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দখল উচ্ছেদ করে ভুলুয়া নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করে মহামান্য হাইকোর্টকে রিপোর্ট জমা দিতে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসান এর দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জনস্বার্থে রিটটি দায়ের ও শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ও লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান। রুলের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে এ রিট করেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
তিনি বলেন, গত ২৩ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এ ভুলুয়া নদীর অবৈধ দখল নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি দেখে আমি জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করি। কোর্টে আমি প্রতিবেদনটি দাখিল করি। রিটে মানবসৃষ্ট বন্যা রোধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, নদী সংরক্ষণ কমিশনের চেয়ারম্যান, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী সাত্তার বলেন, '১৯৮৮ সালের পর এ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়নি আগে কখনো। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সবার কল্পনার বাইরে।'
এখন অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়ে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার পর রান্নাবান্না তো দূরে থাক, তিনবেলা খাবার ঠিকমতো খেতে পারছেন না অনেকে। নারী, শিশু ও পুরুষ নির্বিশেষে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।'