সাবেক নৌমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান গ্রেপ্তার
সাবেক নৌমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৪ সালে মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানকে তলব করেছিল দুদক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে শাজাহান খানের স্ত্রীর নামে নিবন্ধিত দুটি গাড়ি, তার স্ত্রীর স্বর্ণের ৯৬ ভরি সোনা, দুটি বাস, একটি এসইউভি, একটি মাইক্রোবাস ও রাজউকের একটি ১০ কাঠা প্লটসহ বিপুল সম্পদের কথা জানা গেছে।
শাজাহান খান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৮ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে হাসিমুখে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন শাহজাহান খান। তিনি বলেছিলেন, 'আপনারা কি লক্ষ করেছেন, ভারতের মহারাষ্ট্রে গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন মারা গেছে। এগুলো নিয়ে আমরা যেভাবে কথা বলি, ওখানে কি এগুলো নিয়ে কেউ এভাবে কথা বলে?'
ওই মন্তব্যের জেরে দেশের বিভিন্ন স্থানে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে এবং সড়কে নৈরাজ্য দূরীকরণের জন্য ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
পরে তাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।
শাজাহান খান প্রথমবার ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।