আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল: স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে অধিকাংশ কারখানার পরিস্থিতি
টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় শ্রমিক অসন্তোষের জেরে অস্থির সময় পার করার পর, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে ক্রমশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি।
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ব্যতীত চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিন (শনি ও রোববার) স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ ধরে রাখার পর আজ সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
তবে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এই অঞ্চলের বিভিন্ন খাতের বেশ কিছু কলকারখানা আজ বন্ধ রয়েছে।
বিজিএমইএ সুত্র জানিয়েছে, বেলা ১২টা পর্যন্ত তাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আজও বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় 'নো ওয়ার্ক, নো পে'র ভিত্তিতে বন্ধ রয়েছে ১১টি কারখানা। এছাড়া, কারখানা খোলা রাখার পরও কাজ বন্ধ আছে একটিতে।
ঈদ-এ-মিলাদুন্নবির জন্য এই অঞ্চলে বিজিএমইএ'র ১৫৬টি পোশাক কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছে।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, "ইতোমধ্যেই শিল্পাঞ্চলের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। গত দুই দিনও এ অঞ্চলের অধিকাংশ পোশাক কারখানা চালু ছিল, শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করেছেন। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে ছুটির দিন হওয়ায় কিছু কারখানা আজ বন্ধ রয়েছে।"
তিনি জানান, শিল্প পুলিশ-১ এর আওতাধীন এলাকায় মোট ১৮৬৩ শিল্প কারখানা রয়েছে, যার মধ্যে ১৪০০ কারখানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। বাকীগুলোতে সরকারি ছুটি হওয়ায় আজ কারখানা বন্ধ রয়েছে।
পোশাক খাতের একটি শিল্প গ্রুপের একজন উচ্চতর কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে আজ আশুলিয়া অঞ্চলে তাদের সকল কারখানা ছুটি রয়েছে।
ঐ কর্মকর্তা আরও বলেন, "আইনে সাধারণত শ্রমিকরা বছরে ১১ দিন উৎসব ছুটি পান। কিন্তু আগে থেকেই দেখা যায়, শিল্প মালিকরা বছরে শ্রমিকদের দু-একদিন বেশি ছুটি দিয়ে থাকেন।"
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১১৮ (১) অনুযায়ী, প্রত্যেক শ্রমিক বছরে ১১ দিন উৎসব ছুটি পাবেন।
তবে শ্রমিক নেতাদের দাবি, আইনের বাইরে শ্রমিকদের বছরে বাড়তি কোনো ছুটি দেওয়া হয় না।
তারা জানান, শিল্প মালিকরা বছরে দু-একদিন যেই বাড়তি ছুটি দেওয়ার কথা বলেন, সেটি তারা অন্যান্য সময় সাধারণ ডিউটি করিয়ে নেন কিংবা শ্রমিকদের অর্জিত ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে নেন।