বিএনপিপন্থী ৭ আইনজীবীকে আদালত অবমাননার মামলা থেকে অব্যাহতি
আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করার ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে বিএনপিপন্থী ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে আবেদনকারী আইনজীবী নাজমুল হুদাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই টাকা জমা দিতে হবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। তবে এর মধ্যে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন।
এর আগে, গত ১২ জুন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আদালতে অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে তাদের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন দায়ের করেন।
গত বছরের ১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় 'বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ' উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মিছিল সমাবেশও করেন আইনজীবীরা।