যেভাবে পাওয়া যাবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেছেঃ, এমন ব্যক্তি যারা বুস্টার ডোজ নিতে চাচ্ছেন তাদের নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। যে কেন্দ্র থেকে তারা ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সেখান থেকেই মেসেজ পাবেন বুস্টার ডোজের। মেসেজ পাওয়ার পর সুরক্ষা অ্যাপ থেকে থার্ড ডোজের জন্য ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করে নিয়ে গিয়ে বুস্টার ডোজ দিতে হবে।
২৮ ডিসেম্বর থেকে ঢাকার বাইরে প্রায় ৪০টি জেলায় ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। এখন ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা পাচ্ছেন ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ। আগামী সপ্তাহ থেকে ফ্রন্টলাইনার্সরা বুস্টার ডোজ পাবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, "এখন শুধু ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা বুস্টার ডোজ পেলেও আগামী সপ্তাহ থেকে ফ্রন্টলাইনার্সরা বুস্টার ডোজ পাবেন। তখন বুস্টার ডোজ পেতে ফ্রন্টলাইনার্সদের জন্য বয়সসীমা কমানো হবে।"
ডা. শামসুল হক বলেন, "শুধু ফার্স্ট ডোজ নেয়ার সময় সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ভ্যাকসিনের বুস্টার নিতে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই। ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে মেসেজ পেলে ভ্যাকসিন কার্ড নিয়ে গিয়ে বুস্টার ডোজ নিতে হবে।"
করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ হিসেবে দেশে দেওয়া হচ্ছে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন।
যারা বুস্টার ডোজ নেওয়ার যোগ্য, তারা আগের দুই ডোজে যে ভ্যাকসিন নিয়ে থাকুন না কেন, তৃতীয় ডোজে তাদের দেওয়া হবে ওই তিন ভ্যাকসিনের মধ্যে যে কোনো একটি।
এক্ষেত্রে টিকাগ্রহীতার বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। যে আগে যে হাসপাতাল থেকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সেই হাসপাতাল থেকে তার কাছে বুস্টার ডোজের তারিখ জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হবে। সেই কেন্দ্রে যে টিকা থাকবে, সেটাই তাকে নিতে হবে।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ৫৪ জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়। গত বুধবার পর্যন্ত দেশে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৫,৪১৫ জন।