ডক্টর ডুম হয়ে অ্যাভেঞ্জার্সে ফিরছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র
আবারও মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের (এমসিইউ) 'অ্যাভেঞ্জার্স' ছবিতে ফিরছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। তবে এবার সুপারহিরো আয়রন ম্যান হয়ে নয়, সুপারভিলেন ডক্টর ডুমের বেশে। খবর বিবিসি'র।
সর্বশেষ অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম-এ পৃথিবীকে বাঁচাতে, ভিলেন থ্যানোসের সাথে লড়াইয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে আয়রন ম্যান ও টনি স্টার্কের অধ্যায় শেষ হয়। এরপর রবার্ট ডাউনি জুনিয়র (আরডিজে) আবার এমসিইউতে ফিরবেন তা ধারণা করেননি কেউ।
কিন্তু মার্ভেল ভক্তদের অবাক করে দিয়ে, ২৭ জুলাই রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগোতে আয়োজিত কমিক-কন উৎসবে অ্যাভেঞ্জার্সে আরডিজের প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দেন কেভিন ফেজ ও রুসো ব্রাদার্স।
ডক্টর ডুমের চরিত্রে আরডিজেকে পরিচয় করিয়েও দেওয়া হয় নাটকীয়ভাবে। কেভিন ফেজ বলেন, লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যান, আমরা আপনাকে এমন এক ব্যক্তিকে উপস্থাপন করছি যিনি মার্ভেল মাল্টি ইউনিভার্সের ভিক্টর ডন ডুম চরিত্রকে পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।
এই বলেই পাশে সরে দাঁড়ান তিনি। তাদের পেছনে জলপাই রঙের আলখেল্লা ও সিলভার রঙের ডক্টর ডুমের মুখোশ পরা দুই ডজন মানুষ। এদের মধ্য থেকেই সবুজ রঙের ওভারকোট ও ডক্টর ডুমের মুখোশ পরে বেরিয়ে এলেন মূল চরিত্র। দর্শকদের অধীর আগ্রহ, কে হতে পারেন ডক্টর ডুম। মুখোশ খুলতেই দেখা গেল, এ আর কেউ নন, মার্ভেল ভক্তদের প্রিয় রবার্ট ডাউনি জুনিয়র।
মুখোশ হাতে কমিক-কন স্টেজ-এ দাঁড়িয়ে আরডিজে দর্শকদের বলেন, 'একই মাস্ক, ভিন্ন কাজ।'
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমি জটিল চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করি'।
অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের নতুন দুই সিনেমা— 'অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে' এবং 'অ্যাভেঞ্জার্স: সিক্রেট ওয়ারস' ছবিতে ডক্টর ডুমের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এর মধ্যে ডুমসডে মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের মে মাসে এবং সিক্রেট ওয়ারস মুক্তি পাবে ২০২৭ সালের মে মাসে। আগামী বছর থেকে অ্যাভেঞ্জার্স ডুমসডে-র শুটিং শুরু হবে।
২০০৮ সালে মার্ভেল মুভি ইউনিভার্সের প্রথম ছবি আয়রন ম্যানে অভিনয়ের মাধ্যমে আরডিজের মার্ভেলের সাথে পথচলা শুরু। ২০১৯ সালে মার্ভেলের 'অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম'-এ শেষবার দেখা গিয়েছিল তাকে। ইনফিনিটি স্টোনগুলো হাতে নিয়ে এক তুড়িতে থ্যানোস বাহিনীকে শেষ করেন টনি স্টার্ক, নিজে হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেও রক্ষা করেন পুরো ইউনিভার্সকে।
মার্কিন অভিনেতা এই বছরের শুরুতে ওপেনহাইমার ছবির জন্য অস্কার জিতেছিলেন।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন