প্রকৃত সংকট সারের, যা আমাদের ব্যয় বাড়াবে
নিয়ম হলো সমস্যা না থাকলে টেকনোলজি ডেভেলপ করে না, পলিসিতে নতুন কিছু আসে না। এটা একটা ইস্যু।
যুদ্ধটা কত দীর্ঘস্থায়ী হবে তা আমরা এখনো জানি না, আবার দীর্ঘস্থায়ী নাও হতে পারে। তবে যদি ধরেই নেই দীর্ঘস্থায়ী, এক বছর বা তারও বেশি সময় ধরে চলবে। তখন কী পরিস্থিতি তৈরি হবে সেটাই প্রশ্ন। তার একটা প্রতিঘাত পড়বে। এখানে এখন কিছু বিষয় ঘটছে। যখন খাদ্যসামগ্রীর দাম বেশি বেড়ে যায় তখন তার কাছাকাছি বিকল্প কী আছে সেদিকে ঝুঁকে। এখন যেমনটা হচ্ছে।
গমের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন অনেক মানুষ সকালের নাস্তায় রুটি খাওয়া বাদ দিয়ে ভাত খাওয়া শুরু করেছে। ভাতের উপর একটা চাপ পড়বে।
বাংলাদেশ গম এবং ভুট্টা গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, তারা উৎপাদন ৫ লাখ টন বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এক মৌসুমে হয়তো এটা পারা যাবে না। সমস্যা নেই, দুই লাখ, তিন লাখ টন করে বাড়ুক।
এখানে তারা টার্গেট করছে চরাঞ্চল, কিছু পতিত জমি এবং তারা স্মার্ট ভ্যারাইটির জন্য কাজ করছে। এগুলো হলো সংকটের ভালো দিক। এছাড়া কিছু বিষয় রয়েছে, প্রতিবেশি দেশ ভারতের উৎপাদন ভালো। সেখান থেকে আমরা প্রতিবেশি হিসেবে গম আমদানির একটা সুবিধা বিভিন্ন সময় পাবো। এটা আমাদের জন্য একটা পজিটিভ দিক।
সারে আসলে সংকট। এখানে টাকা লাগবেই, এই পরিস্থিতিতে খরচ করতেই হবে। কিন্তু যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে আমাদের খরচ এবং সংকট দুই-ই বাড়বে। এর জন্য আসলে সার ম্যানেজমেন্টে কিছু কাজ করতে হবে। কোথায় কতটুকু সার ব্যবহার দরকার, ঠিক ততটাই করতে হবে। এই বিষয়টা কৃষকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে যাতে তারা অতিরিক্ত ব্যবহার না করে। ইচ্ছেমত কেউ যাতে সার ব্যবহার না করে সে বিষয়ে পলিসি লেভেল থেকেও কাজ শুরু করতে হবে।
(বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডলের এ মতামতটি নিয়েছেন টিবিএস স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শওকত আলী)