পাকিস্তানে সরকারি বেতন-ভাতা বন্ধের নির্দেশ নিয়ে সংবাদ, ‘গুজব’ দাবি অর্থমন্ত্রীর
অর্থনৈতিক সংকটে আর্থিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়- পাকিস্তানের অর্থ ও রাজস্ব মন্ত্রণালয়- রাজস্ব মহাপরিচালকের (এজিপিআর) দপ্তরকে বেতনসহ সরকারি বিল পরিশোধ বন্ধ রাখতে বলেছে। শুক্রবার দেশটির গণমাধ্যম দ্য নিউজের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। খবর জিও নিউজ ও দ্য ডনের
এতে বলা হয়, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে বিল নিষ্পত্তি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গণমাধ্যমটির দাবি শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সরকারি কিছু সূত্র তাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তারা জানান, দেশের কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই ব্যয় সম্পর্কিত অর্থছাড় সমস্যার মধ্যে পড়েছে।
এবিষয়ে জানতে অর্থ বিভাগের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন দ্য নিউজের প্রতিবেদক। তবে কোনো সাড়া পাননি। তবে মন্তব্যের জন্য অর্থমন্ত্রী ইশাক দার- এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সত্যি নাও হতে পারে, নিশ্চিত হয়ে তিনি এব্যাপারে জানাবেন বলে কথা দেন। এরপর শনিবার বেলা ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মন্ত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া না পেলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
দ্য নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের সংবাদ সূত্র যারা, সেই ব্যক্তিরা এজিপিআর দপ্তরে যান কিছু বকেয়া বিল নিতে, কিন্তু সেখানে তাদের জানানো হয় অর্থমন্ত্রণালয় বেতনসহ সব ধরনের বিল পরিশোধ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। দেশের আর্থিক সমস্যার কারণেই এমন নির্দেশনা।
তাৎক্ষণিকভাবে বিল পরিশোধ কেন বন্ধ করা হলো– তার কোনো নির্দিষ্ট কারণ জানতে পারেনি দ্য নিউজ। তবে সূত্রগুলো তাদের জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা খাত সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী মাসের বেতন ও অবসর ভাতা এরমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই অর্থবিভাগ প্রতিবাদ জানিয়েছে বলেছে, বেতন ও ভাতা পরিশোধ বন্ধ রাখা হয়েছে এমন প্রতিবেদন 'সম্পূর্ণ মিথ্যা'।
অর্থবিভাগের জারি করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সরকার বেতন, পেনশন বন্ধ করেছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, অর্থ বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেয়নি'।
এতে আরো বলা হয়, অ্যাকাউন্টেট জেনারেল পাকিস্তান রেভিনিউস (এজিপিআর) নিশ্চিত করেছে, যে বেতন ও ভাতা পরিশোধ এরমধ্যেই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তা সময়মতো তা দেওয়া হবে'। অন্যান্য ধরনের পেমেন্ট নির্ধারিত রুটিন অনুসারে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানানো হয়।
এবিষয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রী ইশাক দার বলেছেন, 'জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করতে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে'।
তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, 'সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত হওয়ার আগে, দয়া করে এধরনের প্রতিবেদন ছড়িয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন'।