যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম নারী ফেডারেল বিচারক হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নুসরাত
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ফেডারেল বিচারক পদে নিয়োগ পেয়েছেন নুসরাত চৌধুরী। একইসাথে তিনি উক্ত পদে নিযুক্ত হওয়া প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান।
নুসরাতকে নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক হিসেবে ৫০-৪৯ ভোটে নির্বাচিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) মার্কিন আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটের পক্ষ থেকে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
৪৬ বছর বয়সী নুসরাত দীর্ঘকাল ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাওয়া আইনজীবীদের সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এর সাথে যুক্ত ছিলেন। সংগঠনটির হয়ে দেশের জাতিগত বৈষম্য ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
গত বছরের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নুসরাত চৌধুরীকে ফেডারেল বেঞ্চের বিচারক হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং ইয়েল ল স্কুল থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রী নেন।
সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেট দলের নেতা চাক শুমার এক বিবৃতিতে বলেন, "নুসরাত চৌধুরী নাগরিক অধিকারে কাজ করে যাওয়া একজন প্রতিভাবান এবং নিবেদিত আইনজীবী। এটিই তাকে সততা এবং পেশাদারিত্বের সাথে ফেডারেল বেঞ্চের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করেছে। আশা করছি তিনি আইনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল থাকবেন এবং তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ন্যায়বিচার পরিচালনা করবেন।"
অন্যদিকে ২০১৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির এক ইভেন্টে নুসরাতের দেওয়া এক বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। মূলত বলা হয় যে, ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্য দিতে যেয়ে তিনি বলেছিলেন, "নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গদের পুলিশ 'প্রতিদিন' হত্যা করছে।"
বিতর্কিত এ বক্তব্যের জের ধরেই বিচারক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটর নুসরাতের বিরোধিতা করেছিল।
যদিও সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির কাছে এক চিঠিতে নুসরাত এমন বক্তব্য প্রদানের দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন, "আমার বিরুদ্ধে এমন দাবি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আমার যে গভীর শ্রদ্ধাবোধ; তার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।"
এর আগে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ফেডারেল বিচারক হিসেবে জাহিদ কুরাইশিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তাকে দেশটির নিউ জার্সির ফেডারেল ট্রায়াল কোর্টে নিয়োগ দেওয়া হয়।