কর্তৃপক্ষ বলছে ভুলে লটারি জিতেছেন, ৩৪০ মিলিয়ন ডলারের মামলা ঠুকলেন মার্কিন ব্যক্তি
মিলিয়ন ডলারের জ্যাকপট লটারি জিতেছিলেন এক মার্কিন ব্যক্তি। কিন্তু লটারি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ভুলে ওই ব্যক্তির নম্বর বিজয়ী হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর পাওয়ারবল ও ডিসি লটারির বিরুদ্ধে ৩৪০ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেছেন জন চিকস নামের ওই ব্যক্তি।
জন চিকস বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পাওয়ারবলের লটারির বিজয়ীর নম্বর নিজের টিকেটের সঙ্গে মিলে যেতে দেখে তিনি 'অসাড়' হয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু অফিস অভ লটারি অ্যান্ড গেমিংয়ে (ওএলজি) টিকেট নিয়ে গেলে জন জিকসের দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
বিবিসিকে তিনি বলেন, 'একজন ক্লেইম এজেন্ট বলেন, আমার টিকেটের কোনো মূল্য নেই, ওটা আবর্জনার ঝুড়িতে ফেলে দিতে।'
কিন্তু জন ওই টিকেট ফেলে না দিয়ে আইনজীবীর শরণ নিলেন। তিনি এখন লটারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৩৪০ মিলিয়ন ডলারের মামলা ঠুকে দিচ্ছেন।
'দুর্ঘটনাবশত ভুল'
আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, পাওয়াবল ও লটারি কন্ট্রাক্টর ওয়াশিংটন ডিসির টাওটি এন্টারপ্রাইজ দাবি করেছে যে কারিগরি ত্রুটির কারণে এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
আদালতের একটি ফাইলিংয়ে টাওটির একজন কর্মী বলেছেন, ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি—যেদিন জন তার টিকেট কিনেছিলেন—একটি মান নিশ্চিতকরণ টিম তাদের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা চালাচ্ছিল।
সেদিন জনের টিকেটের নম্বরের সঙ্গে মিলে যায়, পরীক্ষার অংশ হিসেবে এমন একটি নম্বর 'দুর্ঘটনাবশত' ওয়েবসাইটে পোস্ট করে ফেলা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে আদালতের নথিতে। এরপর ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিন ওয়েবসাইটে থাকে ওই নম্বর।
শেষ লটারি ড্রতে টানা কোনো নম্বরই অনলাইনের নম্বরগুলোর সঙ্গে মেলেনি বলে উল্লেখ করেন টাওটির কর্মী।
জন চিকস এখন চুক্তিভঙ্গ, অবহেলা, মানসিক চাপ তৈরি এবং প্রতারণার অভিযোগে আটটি পৃথক আদালতে মামলা করছেন।
জনের আইনজীবী রিচার্ড ইভানস আদালতের নথিতে বলেছেন, বিজয়ী নম্বর জনের নম্বরের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তিনিই 'পুরো জ্যাকপট' পাওয়ার অধিকারী। অন্যথায় লটারি কর্তৃপক্ষের 'সার্বিক অবহেলার' ফলে সৃষ্ট ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী জন।
রিচার্ড ইভানস বলেন, 'বিষয়টি শুধু নম্বর বা ওয়েবসাইটের জন্য; এটি জীবন-বদলে দেওয়া সুযোগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়।'
জন চিকস বিবিসিকে বলেন, তিনি মামলা জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। 'আমি জানি, ন্যায় বিচারব্যবস্থাই জিতবে।'
মামলার আগামী শুনানি ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।