খরা ও দূষণ মোকাবিলায় বৃষ্টিপাত ঘটাতে সক্ষম ৩০ বিমান মোতায়েন করছে থাইল্যান্ড
বায়ু দূষণ মোকাবিলা এবং প্রধান প্রধান শস্য উৎপাদনকারী অঞ্চলে বিরাজমান শুস্ক আবহাওয়ার প্রভাব কমাতে দেশব্যাপী ৩০টি বিমান মোতায়েন করবে থাইল্যান্ড। এসব বিমান ক্লাউড সিডিং অপারেশন, বা মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত ঘটাতে সক্ষম।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে শুরু হয়েছে বার্ষিক বৃষ্টিপাত সৃষ্টিকারী কর্মসূচি; আনুষ্ঠানিকভাবে যাকে অ্যানুয়াল রয়্যাল রেইনমেকিং প্রোগ্রাম বলা হয়।
মার্চ ও এপ্রিল মাসে বৃষ্টিপাত ঘটাতে দেশটিতে প্রাদেশিক পর্যায়ে সাতটি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে বলে সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এই বছরের কার্যক্রমে দেশটির রয়্যাল রেইনমেকিং ডিপার্টমেন্টের ২৪টি এবং থাই বিমান বাহিনীর ৬টি বিমান যুক্ত থাকবে।
বিমানগুলো বৃষ্টিপাতের জন্য মেঘে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক দ্রবণ ছড়ায়।
থাইল্যান্ডের কৃষিমন্ত্রী থামাত প্রমপো বলেছেন, থাইল্যান্ডের কৃষিখাতের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, এবং কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি ও দাবানল ঠেকাতে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত ঘটানো দরকার। এছাড়া, কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে ধোঁয়াশা ও বাতাসে বিদ্যমান পিএম২.৫ নামক সূক্ষ্ম দূষণকণার মাত্রাও কমানো যায়।
থাইল্যান্ডের আবহাওয়া অফিসের মতে, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে জলাধার ও বাঁধে পানির মজুত বাড়ে, পরে যা কৃষিজমি সেচের কাজে ব্যবহার করা যায়। এবছর থাইল্যান্ডে গ্রীষ্মকাল শুরু হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং তা মধ্য মে পর্যন্ত বজায় থাকবে।
গত সপ্তাহেই দেশটির আবহাওয়া দপ্তর এবারের গ্রীষ্মে উচ্চ তাপমাত্রার পূর্বাভাস দিয়েছে। থাইল্যান্ডের কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা এই সময়ে ৪৪ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে গত বছরেও দমবন্ধ করা আদ্রতা, শুস্ক বায়ু ও অন্যান্য প্রভাবকের কারণে তাপমাত্রা সারণীতে দেশটির কিছু এলাকায় ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মতো উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়। প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদাও পৌঁছেছিল সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ব্যাংকক, চিয়াং মাই-সহ থাইল্যান্ডের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে বাতাসের মানে ব্যাপক অবনতি হয়েছে। বায়ুদূষণের এই ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে, এবং শুস্ক মৌসুমে তা চরম রূপ নেয়– কৃষিজমিতে আগুন দেওয়া, প্রতিবেশী দেশগুলোয় হওয়া দাবানল এবং যানবাহনের নির্গত ধোঁয়ার মিশ্র প্রভাবে।