চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া ব্যাটারি ‘জীবিত’ হবে রাসায়নিক ইনজেকশনে!
ব্যবহৃত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিকে ফের কর্মক্ষম করে তুলতে পারে একটি রাসায়নিক ইনজেকশন। এক ধাপের এই প্রক্রিয়াটি ই-বর্জ্য কমানোর পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারির সরবরাহ বাড়াতে পারে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির চার্জ করা কিছু অংশ, যা শক্তি মজুত রাখে, অকার্যকর হয়ে যায়। এতে ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখার ক্ষমতা কমে আসে। কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হলে ব্যাটারির ওইসব অংশের ক্ষয় রোধ করা যাবে। যদিও এভাবে ইনজেকশন দিয়ে কাঠামোগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাটারি সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে না।
টয়োটার এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ইনজেকশনের মাধ্যমে ফের কর্মক্ষম করে তুললে ব্যাটারির আয়ু বাড়তে পারে।
জাপানের টয়োটা সেন্টার আরঅ্যান্ডডি ল্যাবস ইনক.-এর গবেষক নবুহিরো ওগিহারা বলেন, 'শুধু ল্যাবে ব্যবহারের জন্য ছোট আকারের ব্যাটারিতে এই সিস্টেমের কার্যকারিতা যাচাই করা হয়নি, অটোমোটিভে ব্যবহারের জন্য বড় আকারের ব্যাটারিতেও [এর কার্যকারিতা] যাচাই করা হয়েছে।'
ব্যাটারিকে শক্তি ধরে রাখার ক্ষমতা জোগায় যেসব ধাতুকণা—ধনাত্মক চার্জযুক্ত লিথিয়াম আয়ন ও ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন—সেগুলো চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া ব্যাটারিতে যোগ করেছিলেন ওগিহারা ও তার সহকর্মীরা।
নানা পরীক্ষানিরীক্ষার পর গবেষকরা দেখেছেন, লিথিয়াম ন্যাফথালেনাইডভিত্তিক একটি রিকভারি রিএজেন্ট দুই ধরনের চার্জযুক্ত ধাতুকণাকেই উদ্দীপিত করতে পারে। পাশাপাশি চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া ব্যাটারির সক্ষমতা ৮০ শতাংশ ফিরিয়ে আনতে পারে।
চার্জ করা ও চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার ১০০টি চক্র স্থায়ী হয়েছে ইনজেকশনের মাধ্যমে সচল করা ব্যাটারির সক্ষমতা।
তবে এ পদ্ধতির প্রকৃত কার্যকারিতা ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য ফের কর্মক্ষম করা ব্যাটারি দীর্ঘমেয়াদে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জ্যাকলিন এজ।
টয়োটার গবেষণা দল কাজটির পেটেন্ট আবেদন জমা দিয়েছে। ব্যবহৃত ব্যাটারি পুনরুজ্জীবিত করে ফের ব্যবহার করার ধারণাটি অন্যান্য কোম্পানি ও সরকারি সংস্থাকেও আকৃষ্ট করেছে।