চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের শীর্ষে ভারত, ২১ দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ
বর্তমান প্রজন্মের বহুল ব্যবহৃত চ্যাটজিপিটি এরই মধ্যে পার করে ফেলেছে দুবছর। এটি উন্মোচনের মাধ্যমে ওপেনএআই জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) খাতে এক বিপ্লবের সূচনা করেছে।
বিশ্বে এ ওপেনএআই'র সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। সম্প্রতি বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ একটি জরিপ চালিয়েছে। তাদের প্রকাশিত সিসিআই গ্লোবাল কনজিউমার সেন্টিমেন্ট জরিপ ২০২৩-এ সর্বোচ্চ চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী ২১ দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে এ তালিকায় নেই বাংলাদেশ। এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের মতো দেশের পাশাপাশি মরক্কো, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, তুরস্কর মতো দেশও রয়েছে।
প্রকাশিত জরিপ অনুসারে, ভারতের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জরিপের ৪৫ শতাংশ জায়গাই দখল করে আছে তারা। সম্ভবত ভারতে প্রচুর আইটি কোম্পানি ও আইটি প্রফেশনাল থাকার কারণে দেশটিতে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি। তাদের জন্য চ্যাটজিপিটি একটি মূল্যবান সম্পদ হতে পারে।
জরিপের তথ্য থেকে আরো তথ্য উঠে আসে যে, বেশিরভাগ তরুণরা মূলত এ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে। বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে বেশি সচেতন। তাই তাদের মধ্যে এআই টুল ব্যবহারের প্রবণতাও বেশি।
উদাহরণস্বরূপ, ভারত এবং ফিলিপাইনের তরুণরা কিছু নির্দিষ্ট কারণে এআই ব্যবহার করে থাকে। তারা বিশেষ করে, গবেষণায় ও ভার্চুয়ালি ব্যক্তিগত সহায়তায় নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনে তারা মূলত এআই ব্যবহার করে।
বিপরীতে, বিগ সি জি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির অংশগ্রহণকারীরা (যাদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের পরিমাণ কম) প্রাথমিকভাবে "মজা করতে" এআই ব্যবহার করেন।
যারা এআই ব্যবহার করছে তাদের জন্য "অমীমাংসিত প্রয়োজনীয়তা পূরণ" একটি গুরুত্বপূর্ণ থিম। এর মানে হতে পারে আর্থিক লক্ষ্য তৈরি করা, ব্যক্তিগতকৃত সুপারিশ খোঁজা, বা তাদের আগে থাকা সামগ্রীর মতো অনুরূপ আইটেম খোঁজা।
সর্বোপরি জরিপে অংশ নেওয়া ৪০ শতাংশ মানুষ বলছেন তারা এআই নিয়ে আগ্রহী, ২৮ শতাংশ মানুষ বলছেন তারা এটি নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত এবং ২৯ শতাংশ মানুষ বলছেন তারা এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন।