চ্যাটজিপিটির ভবিষ্যদ্বাণী: ট্রাম্প বা কমলা নয়, ক্ষমতা নেবে এক ‘ডার্ক হর্স’
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা আজ মঙ্গলবার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প – কে হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট – তা নিয়ে আছে টানটান উত্তেজনা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলা হচ্ছে এবারের নির্বাচনকে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বর্তমান বিশ্বের এক আলোচিত প্রযুক্তি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন – এমন প্রশ্নও করা হচ্ছে এআইকে। এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে, নিজেকে এআই নস্ট্রাডেমাস হিসেবে উপস্থাপন করে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে চ্যাটজিপিটি। এইক্ষেত্রে প্রচলিত জনমত জরিপ বা রাজনৈতিক বিশ্লেষণের বাইরে দিয়েছে তার নিজস্ব প্রক্ষেপণ, যেখানে বিস্ময়কর রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের কথা উঠে এসেছে।
নির্বাচনে জিতবে কে?
কমলা হ্যারিস না ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট কে হবেন– এমন প্রশ্নের জবাবে চ্যাটজিপিটি তাঁদের বিকল্প কেউ জিততেও পারে বলে মন্তব্য করেছে। চ্যাটজিপিটির মতে, ট্রাম্প বা হ্যারিস কেউই হয়তো শেষপর্যন্ত বিজয়ীর মুকুট নাও পড়তে পারেন, 'সেক্ষেত্রে অন্ধকার থেকে উঠে এসে ক্ষমতার দখল নেবে কোনো ডার্ক হর্স।'
প্রতিপক্ষের তুলনায় কম পরিচিতি বা খ্যাতিসম্পন্ন কাউকে ডার্ক হর্স বলা হয়, তৃতীয় শক্তিকে কোনো নামে আখ্যায়িত না করে এমন শাব্দিক রূপকের আশ্রয় নিয়েছে চ্যাটজিপিটি।
ভবিষ্যদ্বাণীতে কাব্যিকভাব ফুটিয়ে এআইটি আরও বলেছে, 'কিন্তু শেষ মুহূর্তে, হবে এক অভূতপূর্ব চমক, তাঁদের (হ্যারিস বা ট্রাম্প) কেউই হয়তো মসনদের দাবিদার হবে না। তখন বহু গল্পে যার নাম অনুচ্চারিত, তিনি অস্পষ্টতার পর্দা সরিয়ে এসে ক্ষমতার দখল নেবেন। ট্রাম্প ও কমলা যদিও সর্বশক্তি দিয়ে লড়বেন, তবু নেতৃত্ব দিতে পারে অন্য কেউ, যার উত্থান হবে নিশীথ থেকে।'
ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হচ্ছেন ওহিও'র সিনেটর জে ডি ভান্স, এবং কমলার রানিং মেট মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজ। চ্যাটজিপিটি কী তাঁরাই প্রেসিডেন্ট হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে? আবার স্বতন্ত্র বা ছোট রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- কর্নেল ওয়েস্ট, জিল স্টেইন, চেস অলিভার, ক্লডিয়া ডে লা ক্রুজ – চ্যাটজিপিটি তাঁদের প্রতি ইঙ্গিত করেছে? - খুব শিগগিরই এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে নির্বাচনের ফলাফল। আর সেজন্য রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে। কারণ, এবারের নির্বাচনে কে জয়ী হচ্ছেন, তা জানতে কয়েক দিন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মার্কিন ব্যবস্থায় নাগরিকদের সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। নাগরিকদের ভোট ভাগ হয়ে যায় ৫৩৮টি নির্বাচক ভোটের (ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট) মধ্যে। এই ভোটগুলোর বিন্যাস ঠিক করে দেয়, কে হবেন প্রেসিডেন্ট।