রাজউকের 'হ্যাকড' সার্ভার, অনুমোদন পেতে গ্রাহকদের দীর্ঘ অপেক্ষা
গত ২৩ আগস্ট রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নতুন ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) গেজেটেড হওয়ার কারণে রাজউকের আওতাধীন বেশিরভাগ এলাকায় আগের চেয়ে কম উচ্চতার ভবন নির্মাণ করতে হবে জমির মালিকদের। তবে এর আগে আবেদনকৃত সকল ভবন আগের নিয়মে নির্মাণের সুযোগ পাবে। গত ৪ ডিসেম্বর এটি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় রাজউক। যেখানে ২৩ আগস্টের আগে আবেদনকৃতরা ড্যাপের নতুন নিয়ম থেকে বাড়তি সুবিধা পাবেন।
এর ঠিক একদিন পরেই ৬ ডিসেম্বরে রাজউকের সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদন সংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র সার্ভার থেকে হারিয়ে যায়। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে গত ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেতে যেসব গ্রাহক আবেদন করেছিলেন তাদের নথিপত্র ছিল সেখানে। যার প্রায় তিনমাস হতে চললেও গ্রাহকরা এখনও ফিরে পায়নি তাদের নথিপত্র।
রাজউক বলছে, তারা হারানো নথিপত্র ফিরে পেয়েছেন তবে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে কিছু সময় লাগবে।
রাজউকের চেয়ারম্যান বলছেন, নতুন ড্যাপ অনুমোদন হওয়ার পরে একটি পক্ষ হয়তো আগের তারিখে আবেদন দেখাতে ফাইলগুলো গায়েব করতে পারে। তবে সেটি সম্ভব হয়নি কারণ আমাদের কাছে করা আবেদনগুলো সরাসরি অনলাইনে রিয়েল টাইম শো করে। সেটিকে মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে গত ২ জানুয়ারি ঘটনার বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চায় হাইকোর্ট।
বিশেষজ্ঞ এবং নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সরকারি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্য ২ থেকে ৩ ধাপে ব্যাকআপের ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন ছিল। এর সাথে রাজউকের কর্মকর্তাদেরও জড়িত থাকা অসম্ভব কিছু নয়। এখন নতুন করে আবার আবেদন করতে গেলে দুর্নীতি, হয়রানির শিকার হওয়াটা স্বাভাবিক।
ড্যাপ অনুমোদনের আগে ভবনের আবেদন দেখাতে রাজউকের ৩০ হাজার ফাইল গায়েব হতে পারে বলে মূল কারণ হিসেবে দেখছেন তারা।
তবে এ বিষয়ে রাজউকের আইটি বিভাগ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এ সম্পর্কে রাজউকের চেয়ারম্যান থেকে জেনে নিতে অনুরোধ করেন।
গত ২৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর এলাকার প্রায় ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য রাজউকের প্রণয়ন করা ড্যাপের অনুমোদন দেওয়ার পরে জমির মালিক ও আবাসন ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক সিদ্ধান্ত নেয়, যারা ২৩ আগস্টের আগে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন, তারা আগের নিয়মে ভবন নির্মাণ করতে পারবেন, অর্থাৎ বর্তমান ড্যাপে উল্লিখিত আয়তনের চেয়ে বেশি আয়তন পাবেন।
৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজউক। এর একদিন পরেই রাজউকের ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটটি অকার্যকর হয়ে পড়ে।
রাজউকই বলছে, গুরুত্বপূর্ণ এসব নথি হারিয়ে যাওয়ার কারণে ওই গ্রাহকেরা নানা রকম ভোগান্তির শিকার হতে পারেন।
একটি ভবনের অনুমতি নিতে আবেদন করা এক গ্রাহক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ''যেদিন রাজউকের ওয়েবসাইট থেকে আমারসহ প্রায় ৩০ হাজার ভবনের তথ্য মুছে যায় তার ২/৩ দিন পরেই হয়তো আমি ভবন তৈরীর অনুমতি পেয়ে যেতাম। কিন্তু এতোদিন হয়ে গেল রাজউক শুধু বলেই যাচ্ছে তারা তথ্য উদ্ধার করে ফেলবে। আমাদের আবারও তথ্য অনলাইনে আপলোড করতে বলায় আপলোড করেছি কিন্তু কোনো আপডেট পাচ্ছি না। আমি গত বছর এপ্রিলে ভবন তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে রাজউকের কাছে আবেদন করি। যা আগের ড্যাপের নিয়মেই হওয়ার কথা। তবে নতুন করে আবেদন করলে ভবনের উচ্চতা কমাতে হবে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হবে।'
এ ভুক্তভোগী আরও বলেন, 'আমি ঐ সময়ে অনুমতি পেয়ে গেলে আমার ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়ে যেত। একদিকে আমার নেওয়া লোনের টাকার সময় চলে যাচ্ছে আবার ভবন নির্মাণসামগ্রীর দামও বাড়ছে। কবে নাগাদ কাজ শুরু করতে পারবো সে বিষয়েও কোনো নির্দেশনা পাইনি।'
আমিনুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক টিবিএসকে বলেন, 'আমার ভবনের অনুমোদন ছয় মাস ধরে আটকে ছিল। এখন এ ঝামেলার কারণে আরও তিনমাস পেরিয়ে গেল। রাজউক আমাদের নিশ্চিত কিছু না জানিয়ে পুনরায় আবেদন করতে বলেছে। এতে নতুন ড্যাপ অনুযায়ী অনুমোদন দিলে একদিকে ভবনের উচ্চতা কমাতে হবে আবার পার্টনারদের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। এমন হলে নিজের পকেট থেকে টাকা দিতে হবে।'
গ্রাহকরা বলছেন, অনেকেই ভবন বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চান। তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য রাজউকে চিঠি পাঠায়। নথি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ওই গ্রাহকের ব্যাংক ঋণ পেতে সমস্যা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নথি হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে কোনো গ্রাহক চাইলে রাজউক অনুমোদিত মূল নকশা ঘষামাজা করে অনিয়ম করতে পারবেন। এতে রাজউকের বাধা দেওয়ার সুযোগও কম থাকবে। কারণ, চ্যালেঞ্জ করার মতো নকশা এখন রাজউকে নেই।
আবার ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ ভবনের উচ্চতা বাড়ালেও রাজউক ধরতে পারবে না-বলছেন রাজউকের কর্মকর্তারা।
রাজউকের আওতাধীন এলাকায় কোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে রাজউক থেকে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও নির্মাণের অনুমোদন নিতে হয়। আগে সনাতন পদ্ধতিতে কাজটি হতো। ২০১৬ সালে প্রাথমিকভাবে রাজউকের আটটি অঞ্চলের মধ্যে শুধু একটি অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র দেওয়ার মাধ্যমে অনলাইন কার্যক্রম শুরু করে রাজউক। ২০১৮ সালে সব অঞ্চলে অনলাইনে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র দেওয়া শুরু হয়। এরপর ২০১৯ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের পাশাপাশি নির্মাণ অনুমোদন দেওয়ার কাজটিও শুরু হয়।
অনলাইনে এ কাজ করতে ব্যবহার করা হয় এই ওয়েবসাইট। এখানে গিয়ে নিবন্ধন করে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদনের আবেদন করতে হয় গ্রাহককে। ভবনের নকশাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র গ্রাহককে এই ওয়েবসাইটেই আপলোড করতে হয়।
পরে যাচাই-বাছাইসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এই ওয়েবসাইটেই ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও রাজউক অনুমোদিত ভবনের নকশা আপলোড করা হয়। এগুলো ডাউনলোড করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেন গ্রাহক।
রাজউকের পরিকল্পনাবিদ ও ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আশরাফুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'আমাদের সিস্টেম এখন চালু হয়েছে। যাদের পেন্ডিং ছিল (প্রায় ৮ হাজার গ্রাহক) সেসকল আবেদনকারীর কাছে এসএমএস পাঠানো হয়েছে যেন তাদের এটাচড ডকুমেন্টসগুলো সাবমিট করে। ফাইলগুলোতে অফিশিয়াল কমেন্টসগুলো মুছতে পারেনি, সেগুলো সিস্টেমেই আছে। এর সাথের এটাচড ডকুমেন্টসগুলো রিমুভ হয়ে গেছিল। সেই এটাচড ডকুমেন্টসগুলোও উদ্ধার হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সবগুলো এটাচড ডকুমেন্টস উদ্ধার হওয়ার পরে একসাথে আছে। সেগুলো আলাদা করতে আইটি বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কাজে হয়তো এক-দেড় মাসের মতো সময় লাগতে পারে। এরপরেও কোনো ডকুমেন্টস নিয়ে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখব।'
রাজউক তাদের ওয়েবসাইট টেকনোহ্যাভেন কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় পরিচালনা করে আসছে। এ প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার রূহুল আমিন টিবিএসকে বলেন, রাজউকের ওয়েবসাইট এখন সম্পূর্ণরূপে চালু আছে এবং গ্রাহকরা তাদের আবেদন জমা দিতে পারছেন এবং পুরোনো গ্রাহকরা তাদের প্রফাইলে প্রবেশ করতে পারছেন। এর মধ্যে কিছু গ্রাহক তাদের ফাইলে প্রবেশ করতে পারছেন না, সে বিষয়ে কাজ চলছে।
ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, 'কোনো স্বার্থান্বেষী মহল রাজউকের এ তথ্য হ্যাক কিংবা মুছে ফেলতে পারে। নতুন ড্যাপ গেজেটেড হওয়ার পরে অনেকেই মনে করছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যারা আগে ভবনের অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তারা সুবিধা পাবে এমনটা মনে করে যারা আবেদন করেনি কিংবা নতুন করে আবেদন করবে তারা জালিয়াতির সুযোগ নিতে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।'
এ নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, 'রাজউক শুধু অনলাইনেই আবেদনের পাশাপাশি হার্ডকপিও জমা নেওয়ার কথা এবং সেই ফাইল অনুযায়ী পুরাতন আবেদনকারীদের তথ্য আপডেট করতে পারে রাজউক। এতোদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে রাজউকের এমন দায়সারা কথা গ্রাহকদের আরও উৎকণ্ঠার মধ্যে ফেলবে। রাজউকের অনেক বিষয় নিয়েই তো প্রশ্ন থাকে, এখন এ বিষয়টি নিয়েও প্রশ্নের জন্ম দিল।'
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, এ ধরনের পাবলিক সফটওয়্যারের ২ থেকে ৩ ধাপে ব্যাকআপ থাকে। রাজউকের এক্ষেত্রেও থাকার কথা।
তিনি বলেন, 'রাজউক প্রথমে যখন ঘোষণা করলো যে ফাইল মিসিং সেটিই ছিল তাদের একটি ভাঁওতাবাজি। হয়তো রাজউকের কর্মকর্তারাই চেষ্টা করেছে এমন একটি মিসিং এর বিষয় সামনে নিয়ে এসে ড্যাপ অনুমোদনের আগের কোনো তারিখে নতুন আবেদন সাবমিট দেখাবে। কিন্তু সরকারের চাপে বিষয়টি নিয়ে এখন রাজউক বলছে "ফাইল ফিরে পাওয়া গেছে"।'
তিনি আরও বলেন, 'রাজউকেরই অসৎ উদ্দেশ্য ছিল বিষয়টি নিয়ে। মূলত এ প্রক্রিয়াটি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা। নতুন ড্যাপে ভবনের উচ্চতার বিষয়ে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে এর কারণেই অসাধুরা এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে।'
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) বলেন, 'আমরা শুনেছি ফাইলগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে কিন্তু এখনও কোনো ফাইল আমরা পাইনি। এজন্য আমরা বর্তমান প্রজেক্টগুলো নিয়ে যেমন সমস্যায় আছি তেমনি ভবিষ্যতের ব্যবসার জন্য ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। একটি সরকারি সংস্থা থেকে এভাবে এতোগুলি ফাইল গায়েব হয়ে গেল যা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা কিছুটা হলেও হতাশ।'
রাজউক চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুর রহমান মিয়া টিবিএসকে বলেন, 'আমাদের সার্ভার থেকে হারিয়ে যাওয়া সকল ফাইলই উদ্ধার হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে বুঝতে পারলাম যে ফাইলগুলো হ্যাক হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের নিজস্ব কোনো সার্ভার নেই। রাজউকের ফাইল হ্যাক হয়েছে কিন্তু রাজউকের থেকে ফাইল হ্যাক হয়নি। কারণ আমাদের সকল ডাটা কালিয়াকৈর পোর্টয়েড ডাটা সেন্টারে জমা থাকে। সেন্ট্রাল ডাটার সেখান থেকেই রাজউকের ডাটা হ্যাক হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমরা সকল ডাটা কালিয়াকৈর ডাটা সেন্টারে জমা রাখি।'
'আমরা একটি সাইবার ক্রাইমে মামলা করেছি, সেন্ট্রাল ডাটা সেন্টারে চিঠি দিয়েছি, কম্পিউটার কাউন্সিলের টিমের সহযোগিতা চেয়েছি এবং সর্বশেষ বিষয়টির অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা পেতে বুয়েটকে আমরা সম্পৃক্ত করেছি। আমরা ২৮ লাখ টাকার বিনিময়ে বুয়েটের সাথে চুক্তি করেছি। যারা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিতকরণ, এবং এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে বুয়েট পরামর্শ দিবে।'
জালিয়াতির সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এমনটা হতে পারে যে, ড্যাপ অনুমোদন হওয়ার একদিন আগের অনুমোদন দেখানোর জন্যও একটি মহল এমনটা করতে পারে। তবে কোনো আবেদনপত্র হ্যাক করতে পারেনি। আবেদনপত্রের রিয়েল টাইম দেখা যায় তাই তারিখ পরিবর্তনের সুযোগ নেই। প্রায় ৮ হাজার নতুন আবেদনকারীর কাজ চলমান। এছাড়া প্রায় ২১ হাজার আবেদনের হার্ডকপি আমাদের আছে। আমরা ম্যাসেজ দিয়ে দিয়েছি যাদের আগে আবেদন করা ছিল তারা তাদের ফাইলগুলো আবার আপলোড করবেন। ড্যাপ অনুমোদনে আগের আবেদন সে অনুযায়ীই ভবন নির্মাণ করতে পারবে।'
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানী টিবিএসকে বলেন, 'রাজউক এ বিষয়ে কোনো মামলা করেনি, একটি জিডি করেছে। আমরা এর স্বপক্ষে কিছু তথ্য খুজে পেয়েছে। কিন্তু ফাইল খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে অগ্রগতি নেই।'