সিসিক নির্বাচন: প্রার্থীতা ফিরে পেলেন আরেক মেয়র প্রার্থী
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
স্বতন্ত্র এই মেয়র প্রার্থী বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।
তার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রদে প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ালো ৮-এ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা বলেন, "উচ্চ আদালত আমার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে রায় প্রদান করেছেন। ফলে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমার আর কোনো বাধা নেই।"
মোশতাক আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড কপি পেয়েছেন জানিয়ে সিটি নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের সিলেট কার্যালয়ে গঠিত মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, আদালতের আদেশের মূল কপি পেলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোশতাক আহমেদ ছাড়াও সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্য ৭ প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে মোশতাক আহমেদ বলেন, "আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় সিসিক নির্বাচনে আমি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। ২৫ মে মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়ার কারণে আমার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিনই আমি কর অফিসে যোগাযোগ করে আয়কর রিটার্নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেই।"
"রিটার্ন জমা দিয়ে ২৮ মে কাগজটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে যাই এবং সেখান থেকে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল জমা দেই। আমাকে বলা হয় ৩০ মে আপিল শুনানি হবে। কিন্তু বিভাগীয় কমিশনার ওইদিন আমার আপিলটি খারিজ করে দেন," যোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, "আপিল খারিজ হওয়ার পর আমি আইনজীবীর মাধ্যমে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোট ডিভিশনের বিচারপতি কামরুল কাদের ও মো. শওকত আলী চৌধুরীর যৌথ বেঞ্চ আমার মনোনয়পত্রটি বৈধ বলে রায় প্রদান করেন। বিচারপতিগণ গত ২৮ মে বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক আপিল খারিজ করাকে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ বলে উল্লেখ করেন।"
আদালতের রায়ের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আদালত নির্বাচন কমিশনকে অনতিবিলম্বে প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন।