পোশাক শ্রমিকনেতা শহীদুল হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা; পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, গ্রেপ্তারের আহ্বান
শ্রমিকনেতা শহীদুল ইসলামের খুনের নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশকে এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশন (বিজিআইডব্লিউএফ)-এর কার্যালয় পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ খুনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বলে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
তিনি জানান, কোনো প্রকার সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয়মুক্ত থেকে সব জায়গায় শ্রমিকদের ইউনিয়ন তৈরি করা ও পারিশ্রমিক নিয়ে সামগ্রিকভাবে আলোচনা করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে।
'যুক্তরাষ্ট্র এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়,' বলেন তিনি।
এর আগে গত ২৮ জুন মার্কিন শ্রম দফতর (ইউএসডিওএল) শহীদুল ইসলামের খুনের নিন্দা জানিয়েছিল।
গাজীপুর মহানগরীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকায় এক হামলায় নিহত হন বিজিআইডব্লিউএফ-এর গাজীপুর শাখার সভাপতি শহীদুল।
২৫ জুন রাতে বেতন ও বোনাসের দাবিতে অসন্তোষ চলা অবস্থায় প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডে নামক একটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বের হওয়ার সময় কারখানার সামনে কয়েকজন ব্যক্তি শহীদুলের ওপর হামলা চালায়।
বুকে বারবার ঘুষি মেরে শহীদুলকে নিস্তেজ করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাকে উদ্ধার করে গাছা থানার তায়রুননেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)-এর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম টিবিএসকে বলেছিলেন, এ হামলায় মালিকপক্ষের কেউ জড়িত নয় বরং দুই শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের মধ্যে মারামারিতে শহীদুলের মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু শ্রমিকনেতারা দাবি করেন, কারখানার মালিকেরা শহীদুলের ওপর হামলা করার জন্য দুর্বৃত্ত ভাড়া করেছিল।
এ ঘটনার দুই দিন পরে ওই পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপকসহ আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।