পাকিস্তানের বিরোধীদলের নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশী আটক
পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশীকে শনিবার (১৯ আগস্ট) আটক করা হয়েছে বলে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জানিয়েছে।
দেশের নির্বাচনের কোনো বিলম্ব হলে তার দল আদালতে তা চ্যালেঞ্জ করবে বলার কয়েক ঘণ্টা পরই তাকে আটক করা হয়।
পিটিআই মুখপাত্র জুলফি বুখারি রয়টার্সকে বলেন, পাকিস্তানের দুইবারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশীকে আটকের সুনির্দিষ্ট কারণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অনুরোধ করা হলেও তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেননি।
বুখারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (অধুনালুপ্ত টুইটার) কোরেশীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'প্রেস কনফারেন্স করে বর্তমানে পাকিস্তানে চলমান সমস্ত অত্যাচার এবং প্রাক-নির্বাচন কারচুপির বিরুদ্ধে পিটিআই-এর অবস্থানকে পুনর্ব্যক্ত করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে'।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু দেশটি বর্তমানে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত থাকার কারণে নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ইমরান খানের গ্রেফতারের পর পিটিআই-এর নেতৃত্বদানকারী কোরেশী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, '৯০ দিনের সময়সীমা লঙ্ঘন করা হলে তা হবে অসাংবিধানিক।'
তিনি বলেন, পিটিআই নির্বাচনে যেকোনো ধরনের বিলম্বের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
পিটিআই-এর চেয়ারম্যান ইমরান খান দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বর্তমানে তিন বছরের জন্য কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এছাড়া ইমরানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত করা হয়েছে।
তবে ইমরান খান কোনো অন্যায়ের কথা স্বীকার করেননি। ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেন ইমরান খান। এরপর ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
পাকিস্তানের বিদায়ী সরকার শেষ মুহূর্তে এসে একটি নতুন আদমশুমারির অনুমোদন দিয়েছিল। যার ফলে দেশটির নির্বাচন কমিশনকে নতুন নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।
কমিশনের সাবেক একজন কর্মকর্তার মতে, প্রায় ২৪ কোটি জনসংখ্যার দেশে শত শত ফেডারেল এবং প্রাদেশিক নির্বাচনী এলাকার জন্য নতুন সীমানা নির্ধারণের কাজটি করতে ছয় মাস বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।