২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাত থেকে সাগর ও সুন্দরবন উপকূলে মাছ ধরা শুরু করবেন জেলেরা
মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলে মাছ আহরণ শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খাল ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরবেন জেলেরা।
এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা। মধ্যরাত থেকেই মোংলা ও শরণখোলার বিভিন্ন ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবেন জেলেরা।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের দুবলার চরে শুটকি আহরণের জন্য জেলে, বহদ্দর ও ব্যবসায়ীরা আবেদন করেছেন। আবেদন প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই ও নির্দিষ্ট ফি নেওয়ার পর রাতে তাদেরকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
এদিকে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরের শুটকি মৌসুম শুরু হবে। জেলেরা সুন্দরবনের দুবলার চরসহ অন্যান্য চরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। আগামী পাঁচ মাস এসব চরে অবস্থান করে মাছ শিকার করবেন তারা।
ভালো মাছ পেলে দীর্ঘ অবরোধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা জেলেদের।
সমুদ্রগামী মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি মো. শহিদ মল্লিক বলেন, 'সুন্দরবনের শুটকি তৈরির পেশায় অপেক্ষাকৃত কম আর্থিক সুবিধা থাকলেও জেলেরা প্রতিবছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুবলারচরসহ অন্যান্য চরে যান। এবারও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জেলেরা সুন্দরবনে যাচ্ছে।'
জেলেদের 'বাঁচাতে হলে' শুটকি মৌসুমে সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য সহজ শর্তে সরকারি ঋণ প্রদান করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের সমুদ্রগামী জেলে ইব্রাহীম আমানি বলেন, 'শুটকি আহরণের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ করতে জেলেরা সুন্দরবনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। আশা করি এবার সাগরে ভাল মাছ পাওয়া যাবে।'
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, 'নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের সর্বোচ্চ টহল ছিল। মৎস্য বিভাগের নজরদারির ফলে সাগরে কেউ মাছ ধরতে পারেনি। তাই আশা করছি এবার জেলেরা সাগরে ভালো মাছ পাবেন।'